
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ায় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বগুড়া- ৬ (সদর) আসনের বিএনপি দলীয় সাংসদ গোলাম মো. সিরাজ।
রোববার সকাল আটটার দিকে বগুড়া শহরের শহিদ খোকন পার্কে এই ঘটনা ঘটে।
সিরাজ এমপির দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে শহিদ মিনারের মতো স্থানে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। তবে ছাত্রলীগের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার নিয়ে কটুক্তি করার কারণে নেতাকর্মিরা সিরাজ এমপির লোকজনকে ধাওয়া করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রোববার সকালে দলীয় লোকজন নিয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ খোকন পার্কে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। শ্রদ্ধা শেষে শেষে সিরাজ নেতাকর্মী নিয়ে খোকন পার্ক থেকে বের হয়ে যান। পার্ক থেকে গোলাম মো. সিরাজ বের হয়ে নওয়াব বাড়ি সড়কের রানার প্লাজার সামনে আসলে তাকে রাজাকার বলে স্লোগান দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গোলাম মো. সিরাজকে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে শহিদ মিনারের পাশে সদর পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন গোলাম মো. সিরাজ। পরে তাকে ধাওয়া করতে করতে সদর ফাঁড়ি এলাকা পর্যন্ত যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর সিরাজকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেন।
ধাওয়ার পর গোলাম মো. সিরাজ বলেন, ‘শ্রদ্ধা জানানোর সমস কোনো সমস্যা হয়নি। ফুল দিয়ে আমরা শহিদ মিনার থেকে বের হয়ে আসছিলাম। আসার পথে শহিদ মিনারের বাহিরে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা করেছেন। যারা অপকর্ম করেছে তারা জানে না, কোথায় তারা হামলা করছে। আসলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে শহিদ মিনারের মতো স্থানে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, ‘ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপির সাংসদ দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করছিলেন। এ কারণে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে হালকা ধাওয়া দিয়েছে। বড় কোনো কিছু ঘটেনি।’
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সাংসদ সিরাজ নির্ধারিত সময় না মানার কারণে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সাথে হালকা ঝামেলা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।