র্যালি শেষে জিলা স্কুল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা।
‘ভুলে গেছি ইতিহাস, ভূগোল/ ভুলে গেছি নামতা/ ভুলিনি শুধু বন্ধু তোদের/ আর তোদের দেয়া নাম-টা’। এমন ছন্দে, বর্ণিল আয়োজনে বগুড়া জিলা স্কুলের এসএসসি ব্যাচ- ১৯৯৬ এর প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা রজতজয়ন্তি ও পুর্নমিলনী উদযপান করছে।
ব্যাচটি ২৫ বছর পুর্তিতে শুক্রবার (১৭ ডিস্মেবর) সকাল থেকে জিলা শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উৎসব শুরু করে।
সকাল ৯টার দিকে ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দোয়া মাহফিল করেন। এতে তাদের প্রয়াত বন্ধুদের জন্য মাগফেরাত কামনা করা হয়। এরপরে তারা বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের করেন। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক ঘুরে আবার স্কুল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
আয়োজকরা জানান, প্রতি পাঁচ বছর পরপর তাদের পুর্নমিলনী হয়ে থাকে। এবার ছিল ২৫ বছর পুর্তি। এ জন্য নিজেদের মধ্যে আনন্দ ও উদ্দীপণা বেশি। আরো আগেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। তবে করোনার কারণে তা পিছিয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অনেক বন্ধুদের তারা হারিয়েছেন। পুর্নমিলনীতে সেই হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের তারা স্মরণ করছেন নানা গল্পে, স্মৃতিতে।
পুর্নমিলনীর আয়োজক সূত্র জানায়, তাদের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান কর্মসূচি রয়েছে। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের বন্ধু ও তাদের পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন।
অনুষ্ঠানের মধ্যে র্যালি শেষে প্রীতি শট পিচ ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন রয়েছে। এ ছাড়াও দুপুরের খাওয়ার পর ব্যাচের সব বন্ধুদের পরিবারদের জন্য খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পরে বিকেলে রজতজয়ন্তি ও পুর্নমিলনী উপলক্ষে কেক কাটা হবে। এর পরেই ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছেন শিক্ষক সংবর্ধণা। এতে জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী, জিলা স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তাফিসহ আরো অনেক শিক্ষক উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাতে আতশবাজীর মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী এ উদযাপনের সমাপ্তি করছেন জিলা স্কুলের ৯৬ ব্যাচের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ৯৬ ব্যাচের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা বলেন, যান্ত্রিক জীবনে সামাজিক ব্যবস্থা ভার্চুয়াল হয়ে গেছে। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে সমাজের অগ্রজ, অনুজদের যে মেলবন্ধন তা অনেকটাই এখন কমেছে। আমাদের এসব পুর্নমিলনী সেই সামাজিক বন্ধন অটুট রাখার ছোট প্রয়াস।
প্রসঙ্গত, জিলা স্কুলের ৯৬ ব্যাচ থেকে প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষ স্থান অধিকার করে। এর আগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল একাধিকবার। এ ছাড়াও ১৯৯৬ সালে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী মেধাস্থান অর্জন করেছিলেন।