Joy Jugantor | online newspaper

‘নদী দখলদারদের তালিকা শহরে ঝুলিয়ে দেয়া হোক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ১৮ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৫:৪৮, ১৮ মার্চ ২০২৩

‘নদী দখলদারদের তালিকা শহরে ঝুলিয়ে দেয়া হোক’

বাপার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বক্তব্য দিচ্ছেন।

বগুড়ার নদী: সংকট সমাধানে করণীয় শীর্ষক আলোচনা দিয়ে শেষ হচ্ছে বগুড়ায় তিন দিনব্যাপী নদী মেলা। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের শহীদ খোকন শিশু উদ্যানে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে  ১৬ মার্চ একই স্থানে নদী মেলা শুরু হয়।

সমাপনী দিনের আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাপা বগুড়া শাখা, বেলা ও এএলআরডি। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় স্যান্যাল। 

আলোচনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন বাপার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল, বিবিসিএফের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক এসএম ইকবাল, বাপা বগুড়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল করিম দুলাল, পরিবেশকর্মী আব্দুল করিম কিম, পরিবেশকর্মী ইসমাইল গাজী। 

সভায় বগুড়ার নদীগুলোর বেহাল দশার বর্তমান চিত্র তুলে  ধরা হয়। একই সঙ্গে নদী সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এ সময় বাপার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, কোনো নদীতের তার প্রকৃতিগত ধারায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তার গতিপ্রবাহে বাধা দিলে নদীর যে রূপ আসে তা মানবসমাজের জন্যই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। কিন্তু এই বগুড়ার প্রায় সব নদীই দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে। একটা সময় ছিল নদী দখলদাররা ডোনেশন দিত। আমরা সেটা বন্ধ করেছি। এখন বগুড়ার নদনদীগুলো বাঁচাতে দখলদারদের তালিকা শহরের সাতমাথায় ঝুলিয়ে দিতে হবে। যাতে করে সবাই তাদের নাম জানতে পারে। 

নদীর মেলার এই আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন বাপার বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান।

তিন দিন ব্যাপী নদী মেলায় গত দু’দিনে আলোচনা সভা, নদীর প্রতি ভালোবাসার গল্প, নদীর গান, কবিতা আবৃত্তি, নদী বিষয়ক নৃত্য, নির্ধারিত বক্তৃতা ও নদী বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ২৫টি স্টলের মধ্যে ১৫টি স্টলের নামকরণ করা হয়েছে জেলার নদীগুলোর নামে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে। এর মধ্যে রয়েছে করতোয়া, সুখদহ, বাঙালি, ইছামতি, চন্দ্রাবতী, নগর, ভদ্রাবতী, বেলাই, বানিয়ান, গাংনাই, মহিষাবন, গজারিয়া ও হলহলিয়া।