নদী পাড়ের মাটি কাটছে শ্রমিকরা।
নওগাঁয় তুলশী গঙ্গা নদীর পাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। নদীর মাটি এভাবে কেটে বিক্রি করায় চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ও তিলকপুর ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিন দিকে তুলশী গঙ্গা নদী বেয়ে গেছে। বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে রামকালী ব্রীজ থেকে উত্তর দিকে এ নদী পশ্চিম পাশে স্ক্যাবিটর দিয়ে এবং তিলকপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে নদীর পশ্চিম তীরে কোদাল দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এসব মাটি ট্রাক্টর দিয়ে স্থানীয় মেসার্স মাসুমসহ কয়েকটি ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাক্টরে ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন মাটি ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন খনন না করায় তুলশীগঙ্গা নদী অনেকটা ভরাট গেছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় এতে প্রতি বছর বন্যার পানিতে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। নদীর পাড়ের জায়গা নিজেরদের ব্যক্তিমালিকানা দাবী করে অনেকেই মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। গত কয়েকদিন থেকে এসব মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কিছু বলতে পারেন না স্থানীয়রা।
নদীর পাড়ের মাটি বিক্রেতা দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, তিনি একজন মাটি ব্যবসায়ী। দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নিকট থেকে ১৪ কাঠা জমির মাটি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। ওই মাটি প্রতি ট্রাক্টর ৩৫০ টাকা হিসেবে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। জমির কাগজপত্র সবকিছুই সম্পূর্ন আছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে অবগত আছে বলে জানান তিনি।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন, যারা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কিছু মানুষকে সনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিজস্ব জমি থেকে কেউ যদি মাটি কাটে সেখানো তো আমরা বাঁধা দিতে পারি না। কেউ যদি নদীর পাড়ের মাটি নিজের বলে দাবী করে তাহলে কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। সেটা সময় সাপেক্ষে।