
ভাগীদার নাটকের ফাইল ছবি।
বাংলাদেশ পথনাটক উৎসবে ভাগীদার নাটক মঞ্চায়ন করবে বগুড়া থিয়েটার। সম্প্রীতির সংস্কৃতি আনবেই মুক্তি এ স্লোগানে ৬ দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ। শুক্রবার ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মঞ্চায়ন হবে নাটকটি।
আয়োজনে বাংলাদেশের সাতত্রিশ জন নাট্যকারকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সম্মাননা প্রাপ্তদের মাঝে আছেন ভাগীদার নাটকের রচয়িতা ও নির্দেশক তৌফিক হাসান ময়না। ভাগীদার নাটকের এপর্যন্ত ২৫ টি মঞ্চায়ন হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হবে নাটকের ২৬ তম মঞ্চায়ন। ভাগীদার নাটকটি ইতোমধ্যে দুই বাংলাতেই দর্শক ভালবাসা পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নাটকটির ৬ টি মঞ্চায়ন হয়েছে এছাড়াও রেডিও কোলকাতার স্টুডিও নাটকটি বেতার নাটক হিসেবে ধারণ করা হয় যা গত ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত হয়েছে।
ভাগীদার নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন অলক পাল, বিধান কৃষ্ণ রায়, সোবহানি বাপ্পী, সুপিন বর্মন, রবিউল করিম। আবহ নির্মাণ করেছেন বায়েজিদ নিবিড়, বিশাল চাকী।
ভাগিদার নাটকটির প্রেক্ষাপট ৫২ র ভাষা আন্দোলন নিয়ে। মাতৃভাষা বাংলাকে অর্জন করতে শ্রেণি, পেশা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। একারণেই বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর কূট কৌশল নস্যাত হয়ে যায়। ভাগীদার নাটকে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একজন ছাত্রকে ধরার জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাতে থাকে। সেই ছাত্রনেতা পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে অজান্তেই আশ্রয় নেয় এক চোরের আস্তানায়। কিন্তু ছাত্রনেতার সাথে কথোপকথনের সময় চোরটির মনের মধ্যে জন্ম নেয় দেশপ্রেম। চরম নাটকীয়তার মাঝে সে ছাত্রনেতাকে রক্ষা করে। সেই অজানা ব্যক্তির অসীম সাহসিকতা আর সহযোগিতা করার গল্প নিয়ে রচিত হয় ভাগিদার।
এরপর আগামী ৪ মার্চ শনিবার রাজশাহী থিয়েটার আয়োজিত ৭ম অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসবে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে পরপর মঞ্চায়িত হবে বগুড়া থিয়েটারের দুটি নাটক শান্তিরক্ষক ও ভাগীদার।
শান্তিরক্ষক নাটকটি রচনা করেছেন বিষ্ণু বসু এবং নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিক হাসান ময়না। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দ্বীন মোহাম্মদ দীনু, অলক পাল, সোবহানি বাপ্পী, রবিউল করিম হৃদয়।
শান্তিরক্ষক একটি বিদ্রুপাত্মক নাটক। প্রশাসনের একটি দপ্তরে সাধারণ মানুষের হেনস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকে। প্রতিদিন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা যাদের কি না জনগণকে সেবা দেবার কথা তারাই বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলেন। এর ফলে মানুষের আর বিড়ম্বনার অন্ত থাকে না। সাধারণ মানুষের করের টাকায় যাদের বেতন হয় সেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা হয়ে ওঠেন সুবিধাভোগী দন্ডমুন্ডের কর্তা। ধরাকে সরা জ্ঞান করতে গিয়ে বিপদে ফেলেন পুরো প্রশাসনকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক সাহসী উচ্চারণের নাটক শান্তিরক্ষক।