
সংগৃহীত ছবি
জীবনের সবগুলো দিন বন্ধুত্বের হোক, এটাই তো আমাদের চাওয়া। তাহলে আবার বন্ধুর জন্য একটি দিন কেন? হতে পারে এটি নতুন করে বন্ধুত্ব ঝালাই করে নেওয়ার। তুই তো রয়েছিসই- তবু তোর জন্য একটি বিশেষ দিন, বিশেষ আয়োজন- এটুকু বন্ধুকে জানানোর জন্যও হতে পারে দিনটি। যে কারণেই হোক না কেন, বন্ধু দিবস নিয়ে যতজনের যত মতই থাকুক না কেন, বছর ঘুরে আগস্টের প্রথম রোববার পালন করা হয় বন্ধু দিবস।
অনেকেই দ্বিধান্বিত হন, বন্ধু দিবস আসলে কবে? জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ৩০ জুলাইকে বন্ধু দিবস ঘোষণা করেন। যে কারণে জাতিসংঘ জুলাইয়ের ৩০ তারিখ বন্ধু দিবস পালন করে। এদিকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়। এখন তো নিশ্চিত হওয়া গেল, এবার বলুন বন্ধু দিবসে বন্ধুর জন্য আপনার ভাবনা কী?
ভাবনার অনেকটা জুড়ে যে থাকে, সে-ই তো বন্ধু। বন্ধুর জন্য আলাদা করে ভাবতে হয় না হয়তো। কিন্তু তাকে বিশেষ দিনে চমকে তো দেওয়া যেতেই পারে! সে যেমন আপনার বন্ধু, আপনিও কিন্তু তার বন্ধু। আপনি তার জন্য যা-ই করুন না কেন, নিজে আশা করে থাকবেন না। কারণ বন্ধু কখনো প্রতিদানের আশায় ভালোবাসে না। এভাবেও বলতে পারেন, ভালোবাসা কখনো প্রতিদান আশা করে না।
বন্ধুর জন্য জান-প্রাণ বাজি রাখার দরকার নেই। আপনার দুটি আশার কথা, আপনার ভরসার কাঁধ, চরম দুঃসময়েও ধরে রাখা হাতই তাকে জানান দেবে তার প্রতি আপনার ভালোবাসার কথা। বিশেষ দিনে তার জন্য দুটি ভালো ভালো কথা লিখে ফেলুন না! সে আপনার জীবনের কতটা জুড়ে, তাকে জীবনে পেয়ে আপনি নিজেকে কতটা সৌভাগ্যবান সেকথাও জানাতে পারেন। আপনার এই সামান্য স্বীকারোক্তিই তার ভাবনাগুলো আরও সুন্দর করে দিতে পারে, জীবনকে সে নতুনভাবে দেখতে শিখতে পারে।
সবার মধ্য থেকে নিজের মতো যে জন, বন্ধু হিসেবে আমরা তাকেই বেছে নিই। বন্ধুকে ভালোবাসা মানে আসলে নিজেকে ভালোবাসা, কারণ বন্ধু তো নিজেরই অংশ। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টুকিটাকি উপহারও চাইলে দিতে পারেন বন্ধুকে। না দিতে পারলেও সমস্যা নেই। কারণ বন্ধুত্বে তো হিসাব-নিকাশ থাকে না। আপনার সবটুকু সামর্থ্য এবং সামর্থ্যহীনতা মেনে যে আপনাকে ভালোবাসবে, বুঝতে পারবে, বন্ধু তো সে-ই!