Joy Jugantor | online newspaper

বেগুনের অনেক গুণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২৩ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১১:০০, ২৩ নভেম্বর ২০২১

বেগুনের অনেক গুণ

ফাইল ছবি।

বারোমাসি সবজি বেগুণ। সুস্বাদু সবজিটি দামেও সস্তা আর সারাবছর পাওয়া যায় বলে বাঙালির খাদ্যতালিকায় এটি একটি অপরিহার্য নাম। এটি দিয়ে রান্না করা যায় এমন পদের সংখ্যাও কম নয়। বেগুনের বেগুনি ছাড়া তো ইফতারই জমে না। শুধু বেগুনিই নয়, ভর্তা, ভাজি, ঝোলেও এটি জনপ্রিয়। ‘বেগুন’ নাম শুনলে যদিও মনে হতে পারে এর যেন কোনো গুণই নেই, কাজে কিন্তু ঠিক তার উল্টো। বেগুণের রয়েছে অগণিত গুণ। 

১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে ০.৮ গ্রাম খনিজ, ১.৩ গ্রাম আঁশ, ৪২ কিলোক্যালরি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ২.২ গ্রাম শর্করা, ২৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ওয়ান, ০.০৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি টু, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তাহলে জেনে নেয়া যাক বেগুনের গুণগুলো সম্পর্কে-


 
 

দাঁত ও হাড়ের গঠনে
বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো দাঁত, হাড়ের জন্য খুব উপকারী। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম দাঁতের গঠনকে দৃঢ় করে ও মাড়িকে শক্তিশালী করে। হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

চোখের জন্য উপকারি
বেগুনে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য খুব উপকারী। এটি চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে লড়ে এবং দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধে
বেগুনে আছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। যারা নিয়মিত বেগুন খায়, তাদের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় কম। পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে বেগুনের।

রক্ত চলাচল সচল রাখে
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘কে’। এটি শরীরের ভেতর রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত চলাচল কার্যক্রমকে সচল রাখে।

জিংকের ঘাটতি দূর করে
ডায়রিয়া হলে শরীরে জিংকের ঘাটতি দেখা দেয়। জিংকের ঘাটতি দূর করার সবচেয়ে ভালো সবজিগুলোর একটি বেগুন। তবে ডায়রিয়া চলাকালীন বেগুন নয়। ডায়রিয়া ভালো হয়ে গেলে বেগুন খেয়ে পূরণ করতে পারেন জিংকের ঘাটতি।


 

রক্তশূন্যতা রোধ করে
বেগুনে থাকে আয়রন। এই আয়রন শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে। তাই রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীরা খেতে পারে বেগুন। পুষ্টি পূরণ হবে, রক্ত স্বল্পতাও দূর হবে। 

মুঘের ঘা সারায়
মুখ ও ঠোঁটের কোণে কিংবা জিবে ঘা হয় অনেকের। এটি সাধারণত রিবোফ্ল্যাবিনের অভাবে হয়ে থাকে। বেগুনে থাকে প্রচুর রিবোফ্ল্যাবিন। নিয়মিত বেগুন খেলে এ সমস্যা এড়ানো যায়। 

রুচি ফিরিয়ে আনে
জ্বর হওয়ার পর মুখের বিস্বাদও দূর করে বেগুন। তাই জ্বরের পর বেগুনের তরকারি খেলে মুখের স্বাদ ফিরে পাওয়া যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণ ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ। এটি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বেগুনের আছে বিশেষ ভূমিকা। 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
যাদের রক্তে খারাপ ধরনের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাদের জন্য বেগুন ভালো সবজি। বেগুন ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।