Joy Jugantor | online newspaper

আয়ু বাড়াবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ২৬ অক্টোবর ২০২১

আয়ু বাড়াবেন যেভাবে

ছবি সংগৃহীত

কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে আর কিছু অভ্যাস আয়ত্তে আনতে পারলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর স্বাস্থ্য ভালো হলে রোগব্যাধি বাসা বাঁধতে পারবে না। ফলে কমে যাবে মৃত্যুঝুঁকি।

বন্ধুত্ব

ভালো বন্ধু আশীর্বাদস্বরূপ। একজন মানুষের আশপাশে যত বেশি বন্ধু থাকবে তার জীবন তত স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠবে। বন্ধুরা এক ধরনের সাপোর্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ফলে কঠিন কাজও সহজ মনে হয়। এ ছাড়া বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে থাকলে মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন নামক হরমোন তৈরি হয়, যা ব্রেন ফাংশনকে শান্ত রাখে।

দাঁড়িয়ে কাজ

সারা দিন বসে কাজ করা অস্বাস্থ্যকর। বসে থাকার সময় শরীরের ব্লাড সারকুলেশন কমে যায় এবং খুব কম ক্যালোরি ক্ষয় হয়। সুগার মেটাবলিজমও প্রায় স্থির হয়ে যায়। ফলে যেসব এনজাইম শরীরের ফ্যাটগুলো ভাঙতে সাহায্য করে তা বন্ধ থাকে। তাই একটানা বসে কাজ করা উচিত নয়। সম্ভব হলে দাঁড়িয়ে কাজ করুন। নয়তো প্রতি ঘণ্টায় কাজের ফাঁকে অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকুন।

ফ্লস

দুবেলা দাঁত ব্রাশেই মুখের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয় না। ব্রাশ করার পরও অনেক সময় দাঁতের ফাঁকে ক্ষতিকর জীবাণু থেকে যেতে পারে, যা পেটে গেলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ তৈরি করে। তাই নিয়মিত ফ্লসিং অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত রোগের ঝুঁকি কমায়।

সবজি খান

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সবজি রাখুন। রান্না করা বা কাঁচা দুই ধরনের সবজিতেই প্রচুর পরিমাণে ফ্যাইটোকেমিক্যাল আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তবে রান্না করা সবজির চেয়ে কাঁচা সবজি বেশি কার্যকর। কারণ রান্নার পর খাদ্যগুণ কিছুটা কমে যায়।

ইতিবাচক চিন্তা

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা এবং হাসি-খুশি থাকা বেশিদিন বাঁচতে সাহায্য করে। এটি ব্রেন ফাংশনকে ঠিক রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। ডিপ্রেশন ও আলঝেইমারের ঝুঁকি কমে।

ওজন ও উচ্চতা

ওজন ও উচ্চতার মাঝে ব্যালেন্স রাখা জরুরি। নিজের বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) হিসাব করুন। যদি ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হয় তাহলে মনে করতে হবে উচ্চতা ও ওজনে ব্যালেন্স নেই। আর ৩০-এর ওপরে হওয়া মানেই স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ব্যায়াম

অনেকে মনে করে ব্যায়াম শুধু মোটা মানুষের জন্য। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। সবারই প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। ওজন কমানো ছাড়াও ব্যায়ামের আরও নানা উপকারিতা আছে। এটি মুড ভালো রাখে, হরমোন ব্যাল্যান্স করে, হাড় শক্ত করে, কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখে। সর্বোপরি একজন মানুষকে পুরোপুরি ফিট রাখে।