Joy Jugantor | online newspaper

কোভিড পরবর্তী দুর্বলতা কাটাতে যা খাবেন, যা খাবেন না

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ৩০ জুলাই ২০২১

কোভিড পরবর্তী দুর্বলতা কাটাতে যা খাবেন, যা খাবেন না

প্রতীকী ছবি।

বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। দিন দিন বাড়ছে কোভিডে আক্রান্তে রোগীর সংখ্যা। মৃত্যুর হারও যেন বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য যেমন থাকতে হবে সতর্ক, তেমনি কোভিড মুক্ত হওয়ার পর মেনে চলতে হবে নিয়ম কানুন। শরীর থেকে কোভিড ছেড়ে যাওয়ার পরেও দুর্বলতা থেকে যেতে পারে মাস খানেকের বেশি। এসময় অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানোসহ নানা ধরণের দুর্বলতা এসে ভর করে। এ সবের হাত থেকে রেহাই পেতে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
 
পুঁইশাক, কচু, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, দই এবং ফ্রিজে রাখা বাসি ও ঠান্ডা খাবার এখন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এক গ্লাস গরম পানি খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। কাশি সমস্যা থাকলে কয়েকটি তুলসি পাতা ও বাসক পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির দমক কমবে। ফুসফুসও ক্রমশ শক্তিশালী হতে থাকবে। 

কোভিড সংক্রমণের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে ফুসফুসের উপরে। একই সঙ্গে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া ও শ্বাসের ব্যায়াম করা দরকার। নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম করলে সুফল পাওয়া যাবে।
 
জাঙ্ক ফুড যেমন পিৎজা, বার্গার, রোলের মতো বাইরের খাবার বন্ধ রাখতে হবে। পাউরুটি খাওয়াও বন্ধ রাখতে পারলে ভালো। এ সবের পরিবর্তে বাড়ির সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। কোভিডের পরে কিছু দিন মরিচের ঝাল খাওয়া উচিৎ নয়। এর পরিবর্তে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গের ঝাল হিসেবে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

ভাইরাসের সংক্রমণে প্রোটিন বেশি খাওয়া দরকার। তবে মশলাদার করে রান্না না করে গাজর, পেঁপে, গোলমরিচ দিয়ে রান্না করা মুরগির ঝোল, ডিম সেদ্ধ, মাছের হাল্কা ঝোল খাওয়া যায়। অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ৩-৪ গ্লাস গরম জল খাওয়া দরকার। ডায়াবেটিস বা ক্রনিক কিডনির অসুখ না থাকলে গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

মেথি ভেজানো পানি, আমলকি, হরতকি ও বহেড়া একসঙ্গে কাচের গ্লাসে উষ্ণ পানির মধ্যে প্রতি রাতে ভিজিয়ে রেখে, সকালে ছেঁকে নিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সঙ্গে হজমের গোলমাল এবং গ্যাসের প্রকোপ কমবে। গরম দুধে দুই চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে নিয়ম করে। সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে মধু দিয়ে পিপুল খেলে উপকার হয়।