Joy Jugantor | online newspaper

স্কুল এখন বাড়িতেই

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৮ জুন ২০২১

আপডেট: ০৯:৩৯, ১৮ জুন ২০২১

স্কুল এখন বাড়িতেই

সংগৃহীত ছবি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লকডাউনের সেই শুরু থেকে বদলে গেছে স্কুল-পড়াশোনার ধরণ। নেই চিরচেনা ক্লাস, নেই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, টিফিনে গল্প নেই, কতোদিন স্কুলের মাঠটাই হয়নি দেখা। প্রথম দিকে একটানা ছুটি ভালো লাগলেও, এখন একঘেয়ে লাগতে শুরু করেছে কেমলমতি শিক্ষার্থীদের। মা-বাবারাও স্কুল নিয়ে এখন চিন্তিত। তাই বর্তমান পরিস্থিতে বাচ্চাদের সাময়িকভাবে হোম-স্কুলিং ছাড়া কোনো উপায় নেই।

অব্যাহত কোভিড সংক্রমণের মধ্যে বাড়িতেই পড়াশোনা করাটা সবচেয়ে নিরাপদ এখন বাচ্চাদের জন্য। হোম স্কুলিংয়ে ভালোটাই বেশি। প্রতিদিন স্কুল যাওয়ার তাড়া নেই। বাড়ির নিরাপদ সীমানায় বসে বাবা-মায়ের চোখের সামনে পড়াাশোনা করার অভ্যাসে আর খারাপ কী! তবে হোম স্কুলিংয়ে কিছু অসুবিধে রয়েছে, সেটা হয়তো অভিভাবকরা এতোদিনে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছেন। সেগুলো কিভাবে সামলানো যায় তা জেনে নেওয়া যাক। প্রথমেই জেনে নিই হোম স্কুলিংয়ে সুবিধাগুলো কী কী-

হোম স্কুলিংয়ে সুবিধা : ১.বাড়িতে পড়াশোনায় অপেক্ষাকৃত বেশি ফ্লেক্সিবিলিটির অবকাশ পাবেন। সুবিধামতো আপনার ছেলেমেয়ের পাঠ্যক্রম নিজের রুচি অনুযায়ীই সাজাতে পারবেন।

২.এটি অনেক বেশি চাইল্ড ফ্রেন্ডলি। স্কুলে অনেক বিষয়ে বাচ্চারা হিমশিম খায়। যার ফলে তারা বিষন্নতা এবং অবসাদের শিকার হয়ে পরে। অনেক ক্ষেত্রে লেখাপড়ার প্রতিও বিমুখ হয়ে যায়। হোম স্কুল হলে ওর আগ্রহ-অনাগ্রহ ওর সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করে আপনি পাঠ্যক্রম গড়ে তোলতে পারবেন।

৩.স্কুলে অনেক সময় বাচ্চারা সহপাঠীর হাতে বুলিং বা নিগ্রহের শিকার হয়। এটা বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি করে। হোম স্কুলিংয়ের সময়টাতে নিশ্চিতভাবে নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পাবে। বাড়িতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই শান্তিতে নির্বিঘ্নে পড়াশোনায় করতে পারবে।

হোম স্কুলিংয়ে অসুবিধা : ১. অলাইন ক্লাস, হোমওয়ার্ক, এ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির জন্য মা-বাবাকে আলাদা করে সময় বরাদ্ধ রাখতে হবে। সেজন্য অভিভাবকদেরই বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তাই নিজের কাজ যতটা সম্ভব ফ্লেক্সিবল করে তুলুন।

২.দিনের পর দিন বাড়িতে থাকতে থাকতে বাচ্চারা অসামাজিক হয়ে পরতে পারে। সমবয়সীদের থেকে আলাদা হয়ে, বেড়ে উঠতে থাকলে একাকিত্বের সমস্যায় ভুগতে পারে। সময়বিশেষে অসামাজিক হয়ে পড়াটাও অসম্ভব নয়।

৩. অসামাজিক যাতে না হয়, সেজন্য বাড়ির ছাদ, বারান্দা ইত্যাদি অংশে প্রতিদিন যেন অন্তত আধঘণ্টা সময় কাটায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগও নিয়মিত রাখতে বলুন। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের বাড়িতে পড়তে যেতে চাইলে বাধা দেবেন না। বন্ধুদেরও মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতে বলুন। এক সাথে থেকে সময় কাটালে এবং তারপর গ্রুপ স্টাডি করলেও একাকিত্ব কাটবে।

৪.একেঘেয়েমি একটি বড় সমস্যা। একটানা বাড়িতে দীর্ঘদিন বসে থাকতে থাকতে প্রাপ্তবয়স্করাই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে বাচ্চাগুলোর অবস্থাটা ভেবে দেখুন। এর জন্যও পড়াশোনার নিয়মে ফ্লেক্সিবিলিটি নিয়ে আসুন। প্রতিদিন এক জায়গায় বা এক ভাবে পড়াশোনা না করিয়ে, মাঝেমধ্যে জায়গাবদল করুন। অডিওবুক, ভিস্যুয়াল মাধ্যমে পড়াশেনা করান। দেখবেন নতুন করে উৎসাহ পাবে। পড়াশোনা ছাড়াও বাচ্চাদের অন্যান্য ভালোলাগার বিষয়গুলোর জন্য সময় রাখতে বলুন। যত মন ভালো থাকবে, তত পড়াাশোনাও ভাল হবে।