ডিমের বুন্দিয়া।
মিষ্টি জাতীয় খাবার যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে বুন্দিয়া খুব প্রিয় একটি নাম। ছোট ছোট দানার এই মিষ্টি খাবারটি বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবারই পছন্দের।
আর রোজার মাসে ইফতারিতে বুন্দিয়া ছাড়া চিন্তাও করা যায় না। ইফতারের সঙ্গে বুন্দিয়া দিলে ইফতারের স্বাদ অনেকটা বেড়ে যায়। বেসনের তৈরি বুন্দিয়া তো অনেকই খাওয়া হয়। তবে ডিমের বুন্দিয়া কখনো খেয়েছেন কি? না খেয়ে থাকলে আজই তৈরি করে খেয়ে দেখুন ডিমের বুন্দিয়া। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই তৈরি করাও খুব সহজ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ডিমের বুন্দিয়া তৈরির রেসিপিটি-
উপকরণ: ডিম আটটি, গুঁড়া দুধ ৭৫ গ্রাম, তেল/ঘি চার টেবিল চামচ, চিনি স্বাদ মতো, দারুচিনি ছোট চার টুকরো, এলাচ আস্ত চারটি, লবঙ্গ চারটি, তেজপাতা দুইটি, ভ্যানিলা অ্যাসেন্স এক চা চামচ, গোলাপজল এক চা চামচ, অরেঞ্জ ফুড কালার সামান্য, কিসমিস ১০-১২টি, পানি পরিমাণ মতো।
প্রণালী: প্রথমে ২০০ মিলিলিটার পানিতে ডিম, গুঁড়া দুধ, চিনি ও ভ্যানিলা অ্যাসেন্স একসঙ্গে মিমিয়ে নিন ভালো করে। এবার চুলায় একটি প্যান গরম করে তেল বা ঘি গরম করে নিন। তেল গরম হলে প্যানে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ ও দারুচিনি ভেজে নিন। এর ডিমের মিশ্রণটি প্যানে ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ নেড়ে তারপর ফুড কালার মিশিয়ে দিন।
নিচে যেন লেগে না যায়, এজন্য ক্রমাগত নাড়তে হবে মিশ্রণটি। যখন দেখবেন মিশ্রণটি দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তখন চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। যখন মিশ্রণ একদম শুকিয়ে আসবে এবং দানা দানা বুন্দিয়ার মতো হয়ে যাবে, তখন গোলাপজল ও কিসমিস ছড়িয়ে দিন। এভাবে কয়েক মিনিট নাড়ার পর তৈরি হয়ে যাবে মজাদা ডিমের বুন্দিয়া।
সংরক্ষণ পদ্ধতি: ডিমের বুন্দিয়া হয়ে গেলে একটি এয়ার টাইট বক্সে আলাদা করে রাখুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বক্সের ঢাকনা লাগিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এক সপ্তাহের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপে রাখুন। আর যদি পরদিন খান তাহলে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারেই রেখে দিন। একসঙ্গে একদিন একটু বেশি ডিমের বুন্দিয়া করে আলাদা আলাদা বক্সে সপ্তাহ দুইয়ের জন্য নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।