উত্তর কোরিয়ার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ চেষ্টা ব্যর্থ
উত্তর কোরিয়ার একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের চেষ্টা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে, উৎক্ষেপিত রকেট সাগরে পড়ে ডুবে গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ইঞ্জিন ও ফুয়েল সিস্টেমে অস্থিতিশীলতার কারণে নতুন ‘চোল্লিমা-১’ কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ রকেট ব্যর্থ হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা সাগর থেকে রকেট চালিত যানটির কিছু অংশ উদ্ধার করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের এই উৎক্ষেপণ চেষ্টা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত দেশটির কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ষষ্ঠ আর ২০১৬-র পর প্রথম প্রচেষ্টা ছিল। উত্তর কোরিয়ার প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করার কথা ছিল এটির।
নিজেদের প্রাযুক্তিক ব্যর্থতার অকপট স্বীকারোক্তি দিয়ে কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দ্বিতীয় ধাপের ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক শুরুর পর ধাক্কার জোর হারিয়ে রকেট সাগরে পড়ে গিয়ে নিমজ্জিত হয়।”
এতে আরও বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নেওয়া হবে তবে তার আগে উত্তর কোরিয়ার ন্যাশনার এয়ারোস্পেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্টেশন (এনএডিএ) এই ‘গুরুরত ক্রুটিবিচ্যুতি’ তদন্ত করে দেখে এগুলো সারিয়ে তোলার পদক্ষেপ নেবে।
সাগর থেকে উত্তরের রকেট চালিত যানটির কিছু অংশ উদ্ধার করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর উদ্ধারকারী দল। |ছবি: রয়টার্স
এই উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টার সময় প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কয়েকটি অংশে জরুরি সতর্কতা ও সাময়িকভাবে এলাকা ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। পরে কোনো বিপদ বা ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এই নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী মহাকাশ উৎক্ষেপণ রকেটের যন্ত্রাংশ বলে বিবেচিত অংশগুলো উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে। তারা সাগর থেকে বের করে আনা ধ্বংসাবশেষের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ফোনে কথাবার্তা বলে এই উৎক্ষেপণের ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে ৩১ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে তাদের প্রথম সামরিক নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়া গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো তৈরি করা রকেটের সাহায্যে স্থানীয়ভাবে নকশা করা একটি কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করেছে।
আর মঙ্গলবার চীন তাদের মহাকাশ স্টেশনে তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠিয়েছে, তারা পৌঁছালে ওই স্টেশনে আগে থেকে থাকা তিন মহাকাশচারী পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।