Joy Jugantor | online newspaper

রাতভর কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট 

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৫ মে ২০২৩

রাতভর কিয়েভে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে কিয়েভে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে মস্কো। এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান শেরহি পপকো জানিয়েছেন, প্রায় তিন চার ঘণ্ট ধরে চালানো বিমান হামলার সময় সবগুলো ড্রোন ধ্বংস করেছে কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ নিয়ে চলতি মাসেই ১২ বারের মতো কিয়েভে হামলা চালালো মস্কো। খবর এএফপির। 

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান এই কর্মকর্তা এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, আবারও কিয়েভের আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিনি জানান, মস্কো ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শত্রুরা বিভিন্ন দিক থেকে হামলা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কিয়েভে লক্ষ্য করে চালানো প্রতিটি হামলা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তার দাবি, ইরানের নির্মিত শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে ইউক্রেনের বাখমুতে দীর্ঘ কয়েক মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের ২০ হাজার সদস্য নিহত হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা এই দাবি করেছেন।

ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ৫০ হাজার বন্দিকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে ২০ শতাংশই নিহত হয়েছে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি রাশিয়ান রাজনৈতিক কৌশলবিদ কনস্ট্যান্টিন ডলগভকে বলেছেন, শহরটির জন্য যুদ্ধে তার একই সংখ্যক চুক্তি করা সেনাও মারা গেছে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত রাশিয়ার দখলে এসেছে বলে দাবি করে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার। এছাড়া বাখমুত দখলে নিয়োজিত সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশটির বাখমুত শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ওই শহরে রাশিয়ার জয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে দেশটির বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছেই।