Joy Jugantor | online newspaper

৪ ক্যাটাগরির টাইফুন মাওয়ার এখন সুপার সাইক্লোন

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত: ১৫:২২, ২৫ মে ২০২৩

৪ ক্যাটাগরির টাইফুন মাওয়ার এখন সুপার সাইক্লোন

ঘূর্ণিঝড় মাওয়ার আঘাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রায় গোটা গুয়াম দ্বীপ। ছবি: সংগৃহীত

চার ক্যাটাগরির শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের কূল ঘেঁষে অতিক্রমের পর আরও শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। এটি এখন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর দিয়ে তাইওয়ান ও জাপানের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আবহাওয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আকু ওয়েদারের এক বার্তায় এমনটি বলা হয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়োবাতাসে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের উপকূলে কয়েক মিটার জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রায় গোটা দ্বীপ। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কয়েকটি বাড়ি ও উপড়ে পড়ে শতাধিক গাছ।  

স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দ্বীপটির ৫২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে মাত্র এক হাজার গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে।  

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র গুয়াম ও রোটা দ্বীপের মাঝ দিয়ে অতিক্রম করে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৫টায়।

এর আগে বুধবার ক্যাটাগরি চার মাত্রার শক্তিশালী টাইফুন মাওয়ার সরাসরি আঘাত হানতে যাচ্ছে গুয়াম দ্বীপে এমনটি জানানো হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মাওয়ার গুয়াম দ্বীপে সরাসরি আঘাত হানার কথা ছিল।

গুয়ামের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ পেট্রিক ডলের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও আল-জাজিরা জানিয়েছে ভূমিতে আঘাত হানার সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। সরাসরি আঘাত না করলেও দ্বীপের খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে শক্তিশালী টাইফুনটি।

গত ২০ বছরের মধ্যে এই দ্বীপে আঘাত হানা এই ঝড়টি হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী।

কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় বাসিন্দাদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্বীপজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে বলে জানিয়েছে।

গুয়ামের জনসংখ্যা দেড় লাখের বেশি, যাদের মধ্যে অনেকেই উপকূলীয় বাসিন্দা।

গুয়ামের অন্য বাসিন্দা যারা কংক্রিট বা কংক্রিট-রিইনফোর্সড স্ট্রাকচারে থাকেন না তাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।

গভর্নমেন্ট লু লিওন গুয়েরেরো দ্বীপের নিচু উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার রাতে গুয়ামের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এবং ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার নির্দেশ দেন তিনি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ধারণ ক্ষমতার ২৬ শতাংশ পূর্ণ হয়ে যায়।

পরিস্থিতি ইতিমধ্যে খুব বিপজ্জনক হওয়ার কারণে বুধবার অঞ্চলটিতে কোনও ফ্লাইট যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।

গুয়াম বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেরামতকারী ক্রুদের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলা করা খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এবং আরও বিভ্রাটের শঙ্কা করা হচ্ছে।

দ্বীপটি ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক পর্যটকদের মঙ্গলবার উড়োজাহাজে করে চলে যেতে বলা হয়। তবে বেশিরভাগ বাসিন্দারা, যারা এই ধরনের ঝড়ের সাথে অভ্যস্ত, তাদের টাইফুনে সর্তক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।