টেক্সাসের সিনাগগে উদ্ধার অভিযানে জিম্মিকারী নিহত। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় ১০ ঘণ্টা জিম্মিদশার পর মুক্ত হয়েছে টেক্সাসের ইহুদি উপাসনালয়ে (সিনাগগের) জিম্মি হওয়া ৪ ব্যক্তি।
দ্য ন্যাশনাল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের গভর্ণর গ্রেগ অ্যাবোট বলেছেন, জিম্মি হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
কলিভেলের পুলিশ প্রধান মাইকেল মিলার জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযানে বন্দুকধারী নিহত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বন্দুকধারী সিনাগগের রাব্বিসহ চারজনকে জিম্মি করে। জিম্মি করার ৬ ঘণ্টা পর একজনকে ছেড়ে দেয়।
পরে এফবিআইয়ের জিম্মি উদ্ধারকারী দল অভিযান চালিয়ে বাকি ৩ জনকে উদ্ধার করে। এ সময় জিম্মিকারী নিহত হন।
অভিযান চলাকালীন সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পায়।
জিম্মিকারীর কাছে অস্ত্র ছিল। সে দাবি করেছিল অজানা জায়গায় বোমা পুতে রেখেছে।
এর আগে জিম্মিকারী সিনাগগের ভেতর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং করছিল। তার দাবি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি পাকিস্তানি নিউরো বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকিকে মুক্তি দিতে হবে।
যার মুক্তির দাবিতে জিম্মিকারী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সেই আফিয়া সিদ্দিকি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা হত্যাচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ তাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সে সময় ঘটনাটি পাকিস্তানে তুমুল আলোচনা ও আফিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়। তার সমর্থকদের দাবি, তিনি অবিচারের শিকার।
বর্তমানে টেক্সাসের কারাগারে আফিয়া সিদ্দিকি তার বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন।