
সংগৃহীত ছবি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনা সবচেয়ে ভয়ংকর ধরন ওমিক্রন। আফ্রিকার গণ্ডি পেরিয়ে বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যের পর জার্মানি এবং ইতালিতে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
সংক্রমণরোধে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জোরদার করা হচ্ছে লকডাউন, মাস্ক পরিধানসহ অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যবিধি। নিউইয়র্কে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনার পুরানো ধরন ছাড়াও ওমিক্রনে অভিনব কিছু বৈশিষ্ট পাওয়া গেছে। বিস্তারিত জানতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যুক্তরাজ্যসহ, ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। মিলেছে জার্মানি ও ইতালিতেও।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়া ভ্রমণকারীদের মধ্যে হংকং, বেলজিয়াম, ইসরাইলে. ওমিক্রন শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই নতুন ধরনটি চলে আসতে পারে। যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমিক্রনকে উদ্বেগজনক ধরন হিসাবে ঘোষণা করে। বলা হয়, নতুন ভরন কতোটা সংক্রামক, আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কতোটা তীব্র হতে পারে, টিকার কার্যক্ষমতা কতোটা নষ্ট করতে পারে তা জানতে আরো গবেষণা প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যের ভাইরোলজিস্ট লরেন্স ইয়াং বলেন, ওমিক্রন খুবই বিপদজ্জনক। সবচেয়ে বেশিবার পরিবর্তিত হয়েছে। ওমিক্রনে আগের অনেকগুলো ধরন ছাড়াও, তার মধ্যে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিন ৩০ বার পরিবর্তন হয়েছে জানালেও লরেন্স জানান কমপক্ষে ৫০ বার পরিবর্তন হয়েছে ওমিক্রনের জিনগত কাঠামো।
সংক্রমণ মোকাবেলায় আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বেশ কয়েটি দেশ।
যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, রাশিয়া ব্রাজিল অন্যতম। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছে ভারত।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তি বলেছে জাতিসংঘ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের অভিযোগ, নতুন ধরন শনাক্ত করতে পারায় প্রশংসার পরিবর্তে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে শাস্তি দেয়া হচ্ছে আফ্রিকাকে।