সংগৃহীত ছবি
বলা হয়ে থাকে বর্তমানে সোনার চেয়েও দামী খনিজ সম্পদ হলো দুষ্প্রাপ্য লিথিয়াম। এবার আফগানিস্তানের মাটিতে সেই লিথিয়ামের খোঁজ চালাচ্ছে চীন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার উপর জোর দিচ্ছে পুরো পৃথিবী। আর বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক শক্তিই ভরসা। তেল, কয়লা বা গ্যাস নয় ব্যাটারিচালিত প্রযুক্তির দিকে আগাচ্ছে মানুষ।
আর ব্যাটারি তৈরির অন্যতম উপাদান হলো লিথিয়াম। সে হিসেবে বর্তমান বিশ্বের একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে ধাতুটি। ভৌগলিক অবস্থান ও ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আফগানিস্তানের মাটিতে মহামূল্যবান এই ধাতুটির বিপুল খনি থাকতে পারে বলে মনে করছে চীন।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে কম করে হলেও এক ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের লিথিয়ামের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি চীনা গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের বরাতে আরও জানায়, এরই মধ্যে অন্তত পাঁচটি চীনা কোম্পানি আফগানিস্তানে লিথিয়ামের খনি অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
সম্প্রতি এসব কোম্পানির প্রতিনিধিদের একটি দল বিশেষ ভিসা নিয়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের মাটিতে পা রেখেছেন। তারা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে লিথিয়ামের খনি অনুসন্ধান করছেন। তালেবান সরকারের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে কোম্পানিগুলো।
চীন-আরব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রচার কমিটির পরিচালক ইয়ো মিংগুই বলেন, আফগান খনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই বিশেষজ্ঞ দলটির বিশেষ ভিসা নিশ্চিত হয়েছে।
মিংগুই আরও জানান, নিরাপত্তার গ্যারান্টি নিয়েই চীনা বিশেষজ্ঞরা এখন আফগানিস্তানে খনির অনুসন্ধান শুরু করেছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, চীন এবং আফগানিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলেই চীনা কোম্পানিগুলো এই খোঁজ চালানোর অনুমোদন পেয়েছে।
যদিও আফগানিস্তানে বর্তমান তালেবান সরকার যখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তখন এ ধরনের অনুসন্ধান কার্যক্রমকে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ বলেও স্বীকার করেছে চীনা কোম্পানিগুলো।