Joy Jugantor | online newspaper

গাছ কাটায় ৪০ কোটি টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩ আগস্ট ২০২১

গাছ কাটায় ৪০ কোটি টাকা জরিমানা

সংগৃহীত ছবি

হোটেল তৈরির জন্য কলকাতার রাসেল স্ট্রিটে ৬২টি গাছ কেটেছিল একটি সংস্থা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশ বিভিন্ন মহলে তুমুল সাড়া ফেলেছে। গাছ কাটার অপরাধে ওই সংস্থাকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। আরও নির্দেশ দেয়া হয়, ওই জায়গায় ১০০টি গাছ লাগাতে হবে।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশ নজিরবিহীন ও দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী বলেই মনে করছেন ভারতের পরিবেশকর্মী এবং বন বিভাগের কর্তারা। তারা বলছেন, গাছ বাঁচাতে এমন শাস্তিই দরকার। পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়ন হতে পারে না। 

সেভেন স্টার হোটেল তৈরির জন্য রাসেল স্ট্রিটে ৬২টি গাছ কেটেছিল ওই সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং কিছু ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সংস্থাটি বন দফতর ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি হাইকোর্টে গেলে রায় যায় তাদের বিরুদ্ধে।

মশার বংশ বৃদ্ধি ঠেকানোর যুক্তি দেখিয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাছগুলো কাটা হয়। অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটায় শেক্সপিয়র সরণি থানা একজনকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কলকাতার ডিএফও (ইউটিলাইজ়েশন)-এর কাছে আবেদন করা হয়। ডিএফও উৎপল নাগ আবেদনকারীদের জানান, এত গাছ কাটার বিষয় এভাবে নিষ্পত্তি হতে পারে না। তিনি নির্মাণ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। 

হোটেল নির্মাণ বন্ধ করায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি চলতি বছরে হঠাৎই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিষয়টি উঠলে বন দফতরের পক্ষ থেকে সব নথি জমা দেওয়া হয়। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি জানান, এত গাছ কাটার গুরুতর অপরাধে শুধু কারাদণ্ড নয়, প্রয়োজন আর্থিক দণ্ডও। সেই জরিমানার টাকা পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহার হবে।

বলা হয়, নির্দেশ জারির পনেরো দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা জমা পড়লে ডিএফও মামলার নিষ্পত্তি করতে পারবেন। আইনজীবীরা বলছেন, জরিমানা জমা না দিলে আদালত অবমাননার অভিযোগ করতে পারবেন ডিএফও। আবার রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে বা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার।