নাইজারের রাজধানী নিয়ামেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে বন্যায় তলিয়ে যায়। ছবি: এএফপি
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে তীব্র বন্যায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩৫ জনের। গৃহহীন হয়েছে ২৬ হাজার ৫০০ মানুষ।
অতি বৃষ্টির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সাহেল অঞ্চলের দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাড়িঘর ধসে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। পানিতে ডুবে মারা গেছে আরও ১৫ জন। আহত হয়েছে ২৪ জন।
নাইজারের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্বের মারাদি, উত্তরের আগাদেজ ও রাজধানী নিয়ামেই।
বন্যায় ধসে গেছে আড়াই হাজার বাড়িঘর, অর্ধশত স্কুলভবন, মসজিদ, দোকানপাট ও শস্যের গুদাম। প্রাণ গেছে সাত শতাধিক গবাদি পশুর।
স্বল্প সময়ের বর্ষা মৌসুম প্রতি বছরই সাহেল অঞ্চলের শুষ্ক আবহাওয়ার দেশগুলোতে এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরও অঞ্চলটিতে ৭৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল বন্যা। জরুরি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল ২২ লাখ মানুষ।
গত দুই সপ্তাহে বিরূপ আবহাওয়ার সাক্ষী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল, এশিয়ায় চীন, ভারত, আফগানিস্তানে বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দাবদাহ ও দাবানলে বিপর্যস্ত উত্তর আমেরিকা।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবেই এমন পরিস্থিতি বলে শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।