Joy Jugantor | online newspaper

আইএস বধূ শামিমা নিয়ে ব্রিটিশ আদালতে রায় আজ

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১০:২৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আইএস বধূ শামিমা নিয়ে ব্রিটিশ আদালতে রায় আজ

আইএস বধূ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগম। ফাইল ছবি

২১ বছর বয়সী শামিমা বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি ক্যাম্পে আছেন। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই নারী।

আইএস বধূ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগমকে সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেয়া হবে কি না, তা জানাবে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট।

যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত স্থানীয় সময় শুক্রবার এ সংক্রান্ত রায় দেবে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া শামিমা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে পূর্ব লন্ডন থেকে বন্ধুদের সঙ্গে পালিয়ে সিরিয়া যান। সেখানে ধর্মান্তরিত এক ডাচ যুবককে বিয়ে করেন তিনি। তিনটি সন্তানও হয় তার। তবে বেঁচে নেই কোনো সন্তানই।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ একটি দৈনিকের মাধ্যমে শামিমার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে। দেশে ফিরে আসতে আকুতি জানান তিনি। কিন্তু শামিমা যেন আর দেশে ফিরতে না পারেন, সে জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে।

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত শামিমার চ্যালেঞ্জ করার একমাত্র ন্যায়সঙ্গত পথ আদালতে তার উপস্থিতি কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারক।

অবশ্য শামিমার আইনজীবীরা বলছেন, আদালতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও শামিমা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন।

২১ বছর বয়সী শামিমা বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি ক্যাম্পে আছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা বা ভিডিওর মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেয়ার অনুমতি তার নেই।

২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামিমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেন।

ক্যাম্পে থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ শামিমা পাচ্ছেন না জানিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ রুল জারি করে। সেই রুলিংয়ের রায় হবে শুক্রবার।