Joy Jugantor | online newspaper

বগুড়ার তরুণের নির্মিত জামদানী ও বেনারসীর গল্প দেখল নেদারল্যান্ডস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১১, ১৬ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১১:৩৯, ১৭ এপ্রিল ২০২২

বগুড়ার রাফিদের নির্মাণে ও অলোক পালের বর্ণনায় জামদানী ও বেনারসীর গল্প নিয়ে ডকুমেন্টারি নেদারল্যান্ডসে প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এই ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে। 

পহেলা বৈশাখের সকালে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। এর পর থেকে ইতিমধ্যে সহস্রাধিক মানুষ দেখেছেন; যাদের বেশির ভাগই বিদেশি। 

ভিডিওটি বানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলো ছড়ানো তরুণ ফটোগ্রাফার রাফিদ ইয়াসির। আর ধারা বর্ণনায় কন্ঠ দিয়েছেন বগুড়া থিয়েটারের নাট্যকর্মী ও বাচিক শিল্পী অলক পাল।

দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লা’র টুইট পেজে ভিডিওটি ‘লাইক’ দিয়েছে ওই দেশে নিযুক্ত ভারত ও অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতসহ অনেকেই। 

এটিকে কূটনীতির মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রয়াস উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ডাচদের বাংলাদেশের গল্প জানাতে চাই। এই গল্প অর্থনীতি বা উন্নতির গল্প নয়, বরং আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

"অতীতের থ্রি-সি কূটনীতি অর্থাৎ ‘চিকেন, শ্যাম্পেন এবংশ্যান্ডেলিয়ার’ ডিপ্লোমেসি এখন কাজ করে না। এখন ভিনদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে তাদের ভাষায় আমাদের গল্প বলতে হবে।

রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ জানান, ‘কয়েক মিনিট ভিডিওটি তৈরির সঙ্গে অনেক কিছুই জড়িত; আইডিয়া, ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন, চিত্রধারণ, ধারাবর্ণনা, মিউজিকসহ,  আরও অনেক কিছু। সবকিছুর মিশেলেই তৈরীহয় এক প্রামাণ্য দলিল।

ভিডিও দেখুন

ডকুমেন্টারি নির্মাতারা জানান, পহেলা বৈশাখের ১০ দিন আগে ভিডিও তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পরপরই কাজে নেমে পড়েন তারা।

ভিডিও নির্মাতা রাফিদ ইয়াসির।

ডকুমেন্টারি নির্মাতা রাফিদ জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যের সম্ভার। আমাদের সেই গল্পগুলি বিশ্ব মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশের গৌরব আরো বাড়বে । 

বাচিক শিল্পী অলক পাল।

বাচিক শিল্পী অলক পাল জানান, বাংলার তাঁতশিল্পের ঐতিহ্যের স্মারক জামদানি আর মসলিন। জামদানি আর মসলিনের মাকু, কান্ডুর, সুতা, রঙ যেনো রঙ ছড়ায় আমাদের পথে পথে, আলো ছড়িয়ে ডাক দিয়ে বলে যায়, এই তো আমি, ১৬ শ শতাব্দীর বাংলার সালতানাতের চিহ্ন বয়ে নিয়ে যাচ্ছি...যে চিহ্ন মিশে আছে বাঙালি নারীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে, ভালবাসায়, আবেগে আর বিশ্বাসে। 

এমন একটি অসাধারণ গল্পে কন্ঠ দেয়া সত্যি চমকপ্রদ ঘটনা যা ভিনদেশী মানুষেরা দেখে আমাদের দেশ সম্পর্কে আরো জানতে আগ্রহী হবে।