Joy Jugantor | online newspaper

১৫ মিনিট আকাশে ঘুরলো সায়নীদের প্লেন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২৪ নভেম্বর ২০২১

১৫ মিনিট আকাশে ঘুরলো সায়নীদের প্লেন

ছবি সংগৃহীত

বাংলায় হ্যাটট্রিকের পর এবার তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরা পৌরসভার ভোট। সেই নির্বাচনে বাজিমাত করতে ঘন ঘন রাজ্যটিতে হাজির হচ্ছে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে গিয়ে পুলিশি ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ।

জামিনে মুক্ত হয়ে ত্রিপুরা থেকে কলকাতা ফেরার পথেও সমস্যায় পড়েন সায়নী। এখানেও যেন চলে তার লড়াই। ঘটনাটি ঘটে দমদম বিমানবন্দরে। সেখানে সায়নী ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের বহনকারী প্লেন নিচে নামতে বাঁধার সম্মুখীন হয়। এসময় তাদের প্লেন আকাশে চক্কর দিতে থাকে।

সায়নী ছাড়াও সেই প্লেনে ছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব, অর্পিতা ঘোষের মতো বড় বড় নেতারা। ইন্ডিগোর ওই প্লেনটি ত্রিপুরার আগরতলা থেকে কলকাতা ফিরছিল। কিন্তু তাদের বহনকারী প্লেন কেন নিচে নামতে বিলম্ব করলো?

জানা গেছে, বিমানটি অবতরণের জন্য পুরো প্রস্তুতি নিয়েছিল। এমনকি বেরিয়ে এসেছিল ‘ল্যান্ডিং গিয়ার’ (চাকা)। কিন্তু সেখানে ঝাঁকুনি অনুভব করতেই সেটি ফের ওপরে উঠে যায়। তখন প্লেনের পাইলট যাত্রীদের জানিয়ে দেন রানওয়েতে কুকুর ঢুকেছে। তাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল প্লেন অবতরণ করতে মানা করেছে। তবে কুকুরকে সরিয়ে ১৫ মিনিট পর প্লেন নামার অনুমতি দেওয়া হয়। এই ঘোষণার পর প্রাণ ফিরে পান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

এর আগে গত রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে আগরতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সায়নীকে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। সায়নীকে আটক করে থানায় নিতে সকালেই পোলো টাওয়ার হোটেলে হানা দেয় পুলিশ।

তাদের অভিযোগ, সায়নীর গাড়ি একজনকে ধাক্কা মেরেছে। তিনি আহত হয়েছেন। তাই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যেতে হবে। এই নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। রুখে দাঁড়ান কুণাল ঘোষ। সায়নীকে আটক করার জন্য আইনি নোটিশ কোথায়? প্রশ্ন তার।

কুণাল দাবি করেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই বারবার পুলিশ পাঠাচ্ছে। পুলিশকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে তারা।

এদিকে স্পষ্টবাদী সায়নীর ভাষ্য, পালিয়ে যেতে আসেননি তিনি। মুখোমুখি লড়াই করার জন্য এসেছেন। কী জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, কী বৃত্তান্ত তা জানতেই থানায় যাবেন তিনি। পরবর্তীতে থানায় গেলে এই অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্ত হয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, সত্যের জয় হলো। মিথ্যা মামলা করে তাকে দমানো যাবে না। তার লড়াই চলবে।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ত্রিপুরা গিয়েছিলেন সায়নী। বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। সে রাজ্যে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সায়নী টুইট করেছিলেন, ‘আপনার মরে যাওয়া উচিত। নিজের থেকে অর্ধেক বয়সের তরুণ নেতাদের আক্রমণ করায় আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। বিশ্বাস করুন আমরা যখন বলছি তখন আপনাকে এবং আপনাদের দলকে ত্রিপুরার মানচিত্র থেকে মুছে দেব। কথা দিচ্ছি আমরা।’