শহিদ কাপুরের অনুরোধেই রাজি হন কারিনা!
বলিউডের অন্যতম সেরা রোমান্টিক-কমেডি সিনেমা ‘জব উই মেট’, আজও দর্শকদের মনে এক বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত এই সুপারহিট ছবিতে শহিদ কাপুর ও কারিনা কাপুর খানের অনস্ক্রিন রসায়ন দর্শকদের মন জয় করে নেয়। বাস্তব জীবনেও একসময় প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। তবে জানেন কি, প্রথমে ইমতিয়াজ আলির ছবিতে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন কারিনা?
মিড ডে ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কারিনা জানান, আমি তখন প্রায় দেড় বছর কোনো কাজ করিনি। বড় বড় ছবির অফার পাচ্ছিলাম, কিন্তু সেগুলো পছন্দ হচ্ছিল না। তখনই ইমতিয়াজ শহিদকে ফোন করে স্ক্রিপ্ট শোনান। আমরা কেউই ওকে চিনতাম না, কারণ ওর শুধু ‘সোচা না থা’ রিলিজ হয়েছিল। আমি ওর কোনও ছবি দেখিনি। শহিদ হয়তো দেখেছিল।
কারিনা আরও জানান, শহিদ বলল, এই লোকটা তোমাকে অ্যাপ্রোচ করবে, স্ক্রিপ্টটা দারুণ। তখন আমি বললাম, ঠিক আছে, কাজ করি। আমি কল্পনাও করতে পারিনি এই ছবি এত আইকনিক হয়ে উঠবে। ইমতিয়াজ সবসময় বলতেন, আমি নাকি বুঝতে পারিনি চরিত্রটা কতটা শক্তিশালী।
ফ্লিম কম্প্যানিয়িনকে দেওয়া আরও এক সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেন, আমি তখন ‘তাশান’ আর ‘জব উই মেট’ একসাথে শুট করছিলাম। মনে হচ্ছিল, ‘তাশান’ আমার জীবন বদলে দেবে। ওটাই আমার ফোকাস ছিল। ‘জব উই মেট’ তো শুধু কাজের জন্য করছিলাম। তবে শহিদ বারবার বলছিল, ‘গার্লস পার্টটা অসাধারণ, তোমাকে এটা করতে হবে।’ এই পুরো প্রজেক্টটাই বলতে গেলে শহিদই একসাথে এনেছিল।
কারিনা আরও বলেন, আমি ভাবিনি যে ‘জব উই মেট’ আমার ক্যারিয়ার বদলে দেবে আর ‘তাশান’ আমার জীবন। ‘তাশান’-এর সেটে আমি সেই মানুষটিকে পাই, যাকে আমি পরে বিয়ে করি। আর ‘জব উই মেট’-এর মধ্য দিয়ে আমি পেশাগতভাবে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাই। শহিদ আর আমার পথ আলাদা হয়ে গেলেও এই ছবিটা আমাদের জীবনে এক অমূল্য রত্ন হয়ে থাকল।
