Joy Jugantor | online newspaper

নদীতে ইলিশের খরা, খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৫ মে ২০২৪

নদীতে ইলিশের খরা, খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের

নদীতে ইলিশের খরা, খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের

জাটকা রক্ষায় দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নেমে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। কারণ জালে একেবারেই আটকাচ্ছেনা মাছ। দুই-চারটা ইলিশ ধরা পড়লেও তা বিক্রি করে লাভতো দূরের কথা নৌকার তেল খরচই উঠছে না বলে দাবি জেলেদের।

জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। তাই বুকভরা আশা নিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি। কারণ জালে একেবারেই আটকাচ্ছে না মাছ। আর যে দুই চারটা ইলিশ ধরা পড়ছে তা বিক্রি করে লাভতো দূরের কথা নৌকার তেল খরচও উঠছে না বলে জানান জেলেরা।

জেলেরা জানান, নৌকায় ১৫শ টাকার তেল নিয়ে গেলে মাছ পাওয়া যায় ৮শ’ টাকার। তাই তারা এখন নদীতে যেতে পারছে না। এছাড়া ২/৩ হাজার টাকার মাছ সংগ্রহ করতে হলে তেল খরচ হয়ে যায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার। মাছ না পাওয়া তাদের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে।

মৌসুমের এই সময়টাতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে ভোলার মেঘনা পাড়ের অর্ধশতাধিক ছোট বড় মাছঘাট। কিন্তু সেখানে এখন শুনশান নীরবতা। খালি পড়ে আছে মাছের বাক্স। অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা।

আড়ৎদাররা জানান, তুলনামূলক মাছ না হওয়ায় জেলেরা নদীতে যাচ্ছে না। আশা অনুযায়ী নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ঘোটে মাছের দাম বাড়তি।

মাছের এমন খরা দশার কারণ কি? মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে লবণাক্ততা। ফলে গভীর জলাশয়ের খোঁজে সাগরমুখী হচ্ছে মাছ। আর তাই ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে।

ভোলা সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ. এফ. এম. নাজমুস সালেহীন বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রমে ছোট মাছ আশ্রয় নেয়। এই ছোটমাছগুলো সাগরের দিকে চলে গেছে। এর ফলে নদীতে ইলিশের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সংখ্যা অনেক কম। এই কম হওয়ার কারণে সাগরের নোনা পানিটা এখন বেশি প্রবেশ করছে। এর ফলে মাছ যে ডিম পাড়তে আসে এই সংখ্যা খুবই কম। এই কারণে বর্তমানে জেলেরা ইলিশ খুব কম পাচ্ছে। 

চলতি বছর জেলায় ১লাখ ৯২ হাজার টন ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।