Joy Jugantor | online newspaper

দেশের ইউরিয়া সারের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:২৯, ২৭ নভেম্বর ২০২২

দেশের ইউরিয়া সারের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ

সংগৃহীত ছবি।

চলমান গ্যাস সংকটের কারণে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে বাংলাদেশের। এমন পরিস্থিতিতে আরব দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের ইউরিয়া সারের আমদানি ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে খবর আরব নিউজের।

প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে অর্থনীতিতে কৃষিখাতের অবদান ১১ শতাংশের বেশি। কৃষির এই অবদানের জন্য প্রতিবছর দেশে ২.৬ মিলিয়ন টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়।

কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের গ্যাস কারখানাগুলো উৎপাদন কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। ফলে কৃষিখাতে যে পরিমাণ ইউরিয়ার চাহিদা রয়েছে, তার বেশিরভাগই মেটানো সম্ভব হয়ে উঠছে না দেশে উৎপাদিত সার দিয়ে। আর এ কারণেই সরকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে সারের আমদানি বাড়িয়েছে।

আরব নিউজকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) পরিচালক কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, "দেশের বাজারে গ্যাস সরবরাহ সংকটের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমাদের সার আমদানি প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।"

তিনি বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার- এই তিনটি দেশ থেকে ১.১ মিলিয়ন টনেরও বেশি ইউরিয়া আমদানি করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে এই পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

"বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অতিরিক্ত পরিমাণ সার কেনার বিষয়ে জানিয়েছি," যোগ করেন সাইফুল।

তিনি আরও জানান, দেশের মোট চাহিদার এক-চতুর্থাংশ ইউরিয়া সার বিদেশ থেকে আমদানি করে সরকার। তবে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে টনপ্রতি সারের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বের কারণে, বিশ্বব্যাপী সারের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

আরব নিউজকে তিনি বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের কারণে বাংলাদেশের উচিত সস্তায় সার কিনতে ইউরিয়া সরবরাহকারী দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করা। সেইসঙ্গে তিনি ক্রেডিট ভিত্তিতে ইউরিয়া সার কেনার ওপর জোর দেন।

ইউনিভার্সিটি অফ গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক এই উপাচার্য স্থানীয় পর্যায়ে সারের উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন সরকারকে।

তিনি বলেন, "সস্তায় স্থানীয়ভাবেই ইউরিয়া সারের উৎপাদন সম্ভব। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত হবে, দেশেই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা।"