Joy Jugantor | online newspaper

অনুমতি ছাড়া স্বর্ণ ব্যবসা, সাকিবের প্রতিষ্ঠানকে তলব

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২২ মে ২০২২

অনুমতি ছাড়া স্বর্ণ ব্যবসা, সাকিবের প্রতিষ্ঠানকে তলব

সংগৃহীত ছবি

রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবসা শুরু করেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। প্রতিষ্ঠান দুটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নেয়নি। তাই তারকা ক্রিকেটারের দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।


২০২১ সালে সাকিব জানান, বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি এবং বিক্রির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের যাত্রা শুরু হয়েছে। এরপর চলতি বছরের ২২ এপ্রিল বনানীতে শো রুম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক।


এদিকে রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। আগামী ২৫ মে‘র মধ্যে চিঠির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে সেই চিঠির অনুলিপি।


রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এবং বুরাক কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। আগামী ২৫ মের মধ্যে চিঠির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে সেই চিঠির অনুলিপি।


বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, "সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ৮ (৪) অনুযায়ী, সদস্যভুক্ত কোনো ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোন সিকিউরিটিজের জন্য ব্রোকার বা ডিলার হিসেবে কাজ করবে না। ফলে এ পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য না হয়েও কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের অবস্থান জানতে চায় কমিশন। এ চিঠি জারি করার সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।"

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২(সিসিসি) অনুযায়ী, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে নগদ বা অফসেট কমিশনের সঙ্গে যথাযথভাবে নিবন্ধিত। কমোডিটি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি, পশুসম্পদ, মৎস্য, বনজ, খনিজ বা এনার্জি দ্রব্যাদি এবং এই জাতীয় পণ্য থেকে তৈরি বা প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যাদি। এছাড়া কমিশন কর্তৃক সরকারি গেজেটের মাধ্যমে অবহিত করা যে কোনো পণ্য/দ্রব্যদি হতে পারে। আর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২(১)(৩) অনুসারে, কমোডিটি ফিউচার কন্ট্রাক্টকে নিরাপত্তা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।


চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাজধানীর বনানীতে নিজের স্বর্ণ ব্যবসার শো-রুম উদ্বোধন করেন সাকিব আল হাসান। কিউরিয়াস লাইফ স্টাইলের সঙ্গে যৌথভাবে স্বর্ণ ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন তিনি। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সবাই যাতে চাইলে স্বর্ণ কিনতে পারে, সেই উদ্যোগ নিয়েছে সাকিবের প্রতিষ্ঠান। সেজন্য তারা 'সুইস মেড ২৪কে মিন্টেড গোল্ড বারস’ ১ থেকে ১০০ গ্রামের স্বর্ণ কেনার সুযোগ রাখা হয়েছে।

রেস্টুরেন্ট, হোটেল, পুঁজিবাজার, প্রসাধনী, চিংড়ি ঘের, ট্রাভেল অ্যাজেন্সি, ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট ও ই কমার্সের পর সাকিব এবার স্বর্ণ ব্যবসা শুরু করেছেন। এছাড়া ব্যাংকিং খাতেও বিনিয়োগ করার চেষ্টা করেছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি সেই ব্যাংক। গত বছর সাকিব শেয়ার ব্যবসার জন্য মোনার্ক হোল্ডিংস নামে ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্সও পেয়েছেন।