দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করলেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম থেকে পর্যাপ্ত কর পাচ্ছে না সরকার। দেরিতে হলেও বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য একে একে নিবন্ধন নিচ্ছে ফেসবুকসহ বড় টেক জায়ান্টগুলো। কিন্তু রাজস্ব ফাঁকির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
কারণ তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের মতো ব্যবস্থা এখনো গড়ে তোলা হয়নি। এনবিআর বলছে, সরকারের সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হবে তদারকি ব্যবস্থা।
ফেসবুক, ইউটিউবের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো এখন বিজ্ঞাপন প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এজন্য অর্থ ব্যয় করতে হয় গ্রাহককে। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি সিনেমা, নাটকসহ নানা সেবার জন্যও মূল্য দিতে হয় ব্যবহারকারীদের।
অভিযোগ আছে, অনেকেই সেবার মূল্য অবৈধ উপায়ে পরিশোধ করেন। আবার অনেকে দেশের বাইরে থেকে পরিশোধ করেন। এতে রাজস্ব হারায় সরকার।
অনিয়ম বন্ধে টেক জায়ান্টগুলোকে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এনবিআরের কাছে নিবন্ধন নিয়েছে ফেসবুক, গুগল ও আমাজন। নিবন্ধন নেয়ার প্রক্রিয়ায় আছে মাইক্রোসফট ও নেটফ্লিক্স।
নিবন্ধন নেয়ার ফলে ভ্যাট আইন মেনে প্রতিমাসে রিটার্ন দিতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে। যেখানে উল্লেখ করতে হবে আয়ের যাবতীয় তথ্য। কিন্তু কোনো কোম্পানি অবৈধ লেনদেনের তথ্য গোপন করলে তা ধরার উপায় নেই এনবিআরের কাছে।
অনলাইনকেন্দ্রীক যেকোনো সেবার বিপরীতে বিদেশে অর্থ পাঠানো হলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট উৎসে কর হিসেবে কেটে নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। যদিও অনেক সেবায় ভ্যাটের হার কম। টেক জায়ান্টগুলো নিবন্ধনের আওতায় আসায় সব সেবায় ১৫ শতাংশ নেয়া যাবে না। এতে রাজস্ব আয় কমার শঙ্কা রয়েছে।
এনবিআর কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, জুলাই থেকে রিটার্ন জমা দেবে নিবন্ধন নেয়া কোম্পানিগুলো। তবে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সহজ করতে আইনে আরো সংশোধনী দরকার।