Joy Jugantor | online newspaper

চিনি আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

চিনি আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার

বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য চালের পর চিনি আমদানিতে শুল্ক্ক কমালো সরকার। সম্প্রতি আমদানিনির্ভর এ পণ্যের দাম বেশ বেড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি পর্যায়ে থাকা ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) শাখা এক প্রজ্ঞাপনে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে থাকা এই আগাম কর প্রত্যাহার করে। শুধু ভ্যাট নিবন্ধন আছে এমন প্রতিষ্ঠান এ সুবিধা পাবে। যদিও চিনি পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সিদ্ধান্তে পণ্যটির দাম কমার সম্ভাবনা কম বা নেই বললেই চলে। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা সমকালকে বলেছেন, আগাম কর চিনির উৎপাদন খরচের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। কর বাবদ কোম্পানিগুলোকে আগাম খরচ করতে হতো। এখন সেটা হবে না। এতে চিনির বাজারমূল্য কমার কারণ নেই।

এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পণ্যটির দাম কমানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও চিনি পরিশোধনকারী ব্যবসায়ীদের সুপারিশে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশনও এ সুপারিশ করেছিল। চিনির উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট না থাকায় আমদানি পর্যায়ে পরিশোধ করা আগাম কর ফেরত পেতে সমস্যা হচ্ছিল। এখন আগাম কর প্রত্যাহার করায় কোম্পানিগুলোর হাতে বাড়তি চলতি মূলধন থাকবে এবং চিনি আমদানি বাবদ মোট ব্যয় কমবে। এখন চিনি আমদানিতে প্রতি টনে ৩ হাজার টাকা স্পেসিফিক ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ৫ শতাংশ আগাম আয়কর থাকল।

এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে চিনির দাম বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়েছে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি চিনি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে যা ছিল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা।