Joy Jugantor | online newspaper

অসহায় শিক্ষার্থীর সেমিস্টার ফি পরিশোধ করলেন বিডিইউ ছাত্রলীগ নেতা তুষার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ১৫ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৩:২৬, ১৫ জুলাই ২০২৪

অসহায় শিক্ষার্থীর সেমিস্টার ফি পরিশোধ করলেন বিডিইউ ছাত্রলীগ নেতা তুষার

র্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়া এক মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন বিডিইউ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান তুষার।

অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়া এক মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন বিডিইউ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: তৌফিক হাসান তুষার। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর বকেয়া সেমিস্টার ফির টাকা তার হাতে তুলে দেয়।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মেধাবী ছাত্র জারিফ (ছদ্মনাম)। সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর এডুকেশনাল টেকনোলজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

জারিফ জানায়, আমার বাবা একজন কৃষক মা গৃহিণী। তাদের পক্ষে আমার শিক্ষাব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় খুব কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। 

এ সময় মেধাবী জারিফের স্বপ্ন পূরণে তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ালেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিডিইউ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: তৌফিক হাসান তুষার। তুষার বলেন, অসহায় মেধাবী এক শিক্ষার্থী টাকার জন্য সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না এ খবর আমার কাছে আসে। আমি তৎক্ষণাৎ তার বকেয়া ফি পরিশোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তুষার বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যাকুল থাকতেন। বঙ্গবন্ধু ছোটবেলায় অনাহারিদের আহার যোগানোর নিমিত্তে বাবার গোলাঘর থেকে চাল বিতরণ করতেন।  বস্তুত বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনই বর্তমানের সকল শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাদের জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণার বিষয়। তারই সুযোগ্য কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনাও ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সারা দেশে

শিক্ষার্থীদেরকে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছেন, যে কারণে ক্রমাগত ঝরে পড়ার হার কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশনায় এক সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। এই ধরনের মানবিক কাজে আমি মানসিক তৃপ্তি পাই। আমি মনে করি বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই প্রকৃত শান্তি। এভাবেই সারা জীবন দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। মেধাবী ছাত্র জারিফ বিডিইউ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে রাষ্ট্র্রে, সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি। 

পরবর্তীতে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের সাথে কথা বলে তাকে ভার্সিটি থেকে বৃত্তি প্রদান, ভার্সিটির সেমিস্টার ফি মওকুফের ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেন তুষার। দুঃসময়ে সহযোগিতা করায় তুষারের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন জারিফ।