
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকের নৈশ প্রহরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিয়ষটি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার কোচাশহর এলাকার ব্যবসায়ী মো. আ. লতিফ, চা দোকানী রাশেদ মিয়া, সবুজ মিয়া ও ব্যাংকের নৈশ প্রহরী গোলাম হোসেন জুয়েল। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের নৈশ প্রহরী গোলাম হোসেন জুয়েল উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। খোয়া যাওয়া ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০ টাকা তার বাড়ী এবং ব্যাংকে জুলেয়ের শোবার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির ঘটনাটি ছিল নৈশ প্রহরী জুয়েলের সাজানো নাটক। ওই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, নৈশ প্রহরী জুয়েল কিছু টাকা এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করে এবং আরও এনজিওর কিস্তি পরিশোধের জন্য পাশ বইয়ের ভেতর টাকা রেখে দেয়। কিছু টাকা তার শয়ন কক্ষের বিছানার নিচে পাওয়া যায়।
এর আগে ব্যাংক ম্যানেজার জেসমিন আকতার বাদী হয়ে ব্যাংকের নৈশ প্রহরী গোলাম হোসেন জুয়েলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ রোডস্থ উপজেলার কোচাশহর বন্দরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা নৈশ প্রহরী জুয়েল মিয়াকে বেঁধে রেখে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ব্যাংক ম্যানেজার জেসমিন আকতারের দাবি, প্রতিদিনের মত ব্যাংকের ভল্ট বন্ধ করে চলে যাই। ওইদিন রাতে বেশ কয়েকজন ডাকাত সুকৌশলে ব্যাংকের গেটের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ঘুমে থাকা নৈশ প্রহরী জুয়েল মিয়াকে বেঁধে ভল্টের তালা খুলে সেখানে থাকা প্রায় ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সকালে ব্যাংকে এসে নৈশ প্রহরীর কাছ থেকে ঘটনা শুনে থানা পুলিশে খবর দেই।