Joy Jugantor | online newspaper

চাঁদের কথা বিচ্ছিন্ন নয়, তারেক জিয়ার কথা: লিটন

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:০১, ২৪ মে ২০২৩

চাঁদের কথা বিচ্ছিন্ন নয়, তারেক জিয়ার কথা: লিটন

সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ যে কথাটি বলেছে সেটি বিচ্ছিন্ন কোনো কথা নয়। সেটা তারেক জিয়ার কথা। সেটা লন্ডন থেকে এসে চাঁদের মাথায় কীভাবে ঢুকেছে। এর পরিণতি কতটা ভয়ানক হবে, সে এখনো ভাবতে পারছে না।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারী রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২২ মে) বিকাল নগরীর রাণীবাজারে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ভবন প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের পিতা রাজাকার ছিলেন। বিএনপিতে তারাই নেতৃত্ব দিবেন এটাই স্বাভাবিক। কারণ তাদের জন্মদাতা জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা হলেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে ৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নেপথ্যে সব ধরনের কলকাঠি নাড়েন। সামনে ছিলেন শিখন্ডী খন্দকার মোস্তাক। যাকে কাঠের পুতুলের মতো ব্যবহার করা হয়।

আবু সাঈদ চাঁদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক-এটি আমরা চাই। ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। আরও মামলা হবে। শুধু মামলা দিয়ে নয়, সে রাজশাহী শহরে এলে তাকে গণধোলাই দেওয়া হবে। রাজশাহীতে আমরা এর আগেও চাঁদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি, আবারও অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নামক দলটি বাংলাদেশের জন্য ক্যান্সার। এই ক্যান্সারকে বাংলাদেশ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া দরকার। তা না হলে বাংলাদেশ স্বস্তি পাচ্ছে না। খুনি তারেক জিয়া যেমন কুসন্তান, তেমনি তারেক রহমান কুলাঙ্গার। কুলাঙ্গার তারেক জিয়া লন্ডনে বসে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতার পর হত্যা, খুন ও গুমের রাজনীতি শুরু করে বিএনপি। আবারও সেই রাজনীতি করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের মানুষ জ্বালাও-পোড়াও এর চিন্তা এখনো যায়নি। সুযোগ পেলে তারা আবারো জ্বালাও-পোড়াও করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, রেজা কিবরিয়ার মতো লোক আমেরিকাকে বলে ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ এটি কি মেনে নেওয়ার কথা? কখনোই না। ছাত্রলীগ মানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ছাত্রলীগ মানে নতুন দেশ গড়ার কারিগর। সেই ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলার সাহস রেজা কিবরিয়া বা কতিপয় সুশীল কোথা থেকে পায়?

সদ্য সাবেক রাসিক মেয়র বলেন, সোজা পথে নির্বাচনে এলে জনগণ ভোট দিবে না জেনে বিএনপি নানা রকম পাঁয়তারা করছে। কখনো বলে কেয়ারটেকার সরকার দিতেই হবে। কখনো বলে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। কখনো বলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই কথাতেই উসকানির আভাস পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ, আমরা সহজ-সরল মানুষ। আমরা দেশের উন্নয়ন করতে চাই। দেশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে-এমন কোনো পদক্ষেপ আমরা নিতে চাই না, কখনো নেয়ওনি। কারণ যে মা সন্তানের জন্ম দেয়, সেই মা সন্তানের কোন ক্ষতি করতে পারে না। আমরা দেশের কল্যাণেই কাজ করে যাব। দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে এমন কোনো কাজ আমরা হতে দেব না।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।