গোলাম মোস্তফা।
বগুড়ার শেরপুরে বিল্ডিং বাড়িতে রং করার সময় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে গোলাম মোস্তফা (২৬) নামের এক রং মিস্ত্রির নিহত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত রং মিস্ত্রি শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের নাজির হোসেনর ছেলে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ধুনটমোড় এলাকায় শজিমেকের ডা. রুহুল আমিনের ৩ তলা বিল্ডিং বাড়িতে রং করছিল। বাড়িটির পাশ দিয়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। লাইটি বাড়ি থেকে ১ ফিট দুরত্ব। দড়ি ও বাঁশ ঝুলিয়ে বাড়িটিতে রং করার কাজ করার সময় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৩ তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। এতে তার শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ ঝলসে গিয়ে এবং মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
সেখান থেকে তাৎক্ষনিক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। মেডিকেলে অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। ৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ১০টায় সে মারা যায়।
এ বিষয়ে নিহত গোলাম মোস্তফার চাচা উজ্জল জানান, ডা: রুহুল আমিনের বাড়িতে রং মিস্ত্রির কাজ করছিল। এ সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে গুরুতর আহত হয়। তার চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা ও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দিয়েছে রুহুল আমিন।
ডা. রুহুল আমিনের শ্বাশুরি মাহমুদা বেগম জানান, জামাই এই বাড়ি ভাড়া দিয়ে বগুড়া থাকেন। হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেছি। আল্লাহ হায়াত রাখেনি তাই সে মারা গেছে। তবে চিকিৎসার কোন ত্রুটি ছিল না।