
ছবি- জয়যুগান্তর
নদী রক্ষায় জনগণকে সচেতন করতে গতকাল সকালে বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলার সদর উপজেলায় তিন দিনব্যাপী নদী মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা নদী রক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বগুড়া ইউনিট ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে শহীদ খোকন পার্কে মেলার আয়োজন করে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।
মেলা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ যারা নদী দখল করে তারাই এ ধরনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি। বগুড়ার করতোয়া নদী বাঁচাতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হবে। এই নদী কেউ দখল করতে পারবে না। নদী রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে নিতে হবে ‘
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর- ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, পানি উন্নয়ন বোর্ডে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম।
বাপা বগুড়া শাখার যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নদী মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সৈকত। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক, বাপা বগুড়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল করিম দুলাল, মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
নদী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী, লাইট হাউজের নির্বাহী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ, সাম্পাহিক সূর্য্যতোরণ পত্রিকার সম্পাদক ও বাপা সদস্য সৈয়দা তাহমিনা পারভীন শ্যামলী, পিউসের নির্বাহী পরিচালক শেখ আবু হাসনাত শহীদ, বেলার আঞ্চলিক সম্বয়ক তন্ময় সান্ন্যাল, মথুরা সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রহমান, বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাইদ সিদ্দিকী, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডনিস বাবু তালুকদার, বাপা কেন্দ্রীয় সদস্য আফজাল হোসেন, ইউনিক পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তনছের আলী, বগুড়া হোসনে আরা স্কুলের অধ্যক্ষ মোছা. সুলতানা পারভীন শ্রাবণী, বাপা বগুড়া শাখার কোষাধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ফজলুল হক বাবলু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোকছেদ আলী, মো. ফজলুল হক প্রমুখ।
মেলায় ২৫টি স্টলের মধ্যে ১৫টি স্টলের নামকরণ করা হয়েছে জেলার নদীগুলোর নামে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে। এর মধ্যে রয়েছে করতোয়া, সুখোদা, বাঙালি, ইছামতি, চন্দ্রাবতী, নগর, ভদ্রাবতী, বেলাই, বানিয়ান, গাংনাই, মহিষাবন, গজারিয়া ও হলহলিয়া।
তিন দিন ব্যাপী নদী মেলায় গতকাল প্রথম দিনে দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা, নদীর প্রতি ভালোবাসার গল্প, নদীর গান, কবিতা আবৃত্তি, নদী বিষয়ক নৃত্য, নির্ধারিত বক্তৃতা ও নদী বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যা লি শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদ খোকন পার্ক চত্বরে এসে শেষ হয়।