আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র শীতের মাঝেই আম গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্তত মাস খানেক আগেই মুকুলের দেখা মিলেছে বলে মনে করছেন জেলার চাষিরা। তারা গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন। তবে, পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
জেলার বিভিন্ন বাগানঘুরে আম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেলো বছরে প্রলম্বিত শীতের কারণে ছোট গাছের তুলনায় পুরাতন আম বাগানের বড়-বড় গাছগুলোতে মুকুল কম এসেছিলো। এই বছরে সব ধরনের আম গাছে মুকুল আসছে। তবে কীটনাশক, সেচের খরচ আর শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে কৃষকদের।
এই বছর শীতের প্রভাব আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি বছরের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। গেলো বছরে গাছগুলোতে আমের মুকুল কম হলেও এই বছর বাড়বে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
চাঁপাইনবাগঞ্জ সদর উপজেলার সেরাজুল ইসলাম নামের আম চাষি বলেন, ‘ বাগানেরে গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। যেসব গাছে এখনও আমের মুকুল আসা শুরু হয়নি, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তাতে মুকুল আসা শুরু হবে। গেলো বছর আমের মুকুল কম হওয়ায় এই বছরে আমের মুকুল বেড়ে পর্যাপ্ত আমের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
শিবগঞ্জ উপজেলার মুনিরুল ইসলাম নামের এক বাগান মালিক বলেন, ‘৫০ কেজির একটি সারের বস্তার দাম প্রায় ৮০-১০০ টাকা, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ঘণ্টায় বাগানে সেচ খরচ ৫০-৭০ টাকা এবং নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাবে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ জনপ্রতি একশ-দেড়শ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। যার কারণে বাগান পরিচর্যার খরচ বাড়ছে। গত বছর আমের ফলন কম হলেও, দাম দ্বিগুণ হওয়ায় নায্য দামে আম চাষিরা স্বস্তি পেয়েছিলো। কিন্তু এই বছর এর ব্যতিক্রম হলে বাগান মালিকরা লোকসানের মুখ দেখবেন।’