Joy Jugantor | online newspaper

বগুড়ায় ওসিসহ ২ পুলিশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৮:১৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বগুড়ায় ওসিসহ ২ পুলিশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ

ফাইল ছবি।

বগুড়ায় সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের থানার ওসিসহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিযোগের তদন্ত নিষ্পত্তি কর্মকর্তা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপসচিব বেগম ফারজানা সিদ্দিকা। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিভাগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই অভিযোগ করেন দৈনিক জয়যুগান্তরের বার্তা সম্পাদক ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি ও বগুড়া জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জে সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে জামায়াত ইসলামের ৯ নেতাকে আটকের’ বিষয়টি জানতে ৩ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি নম্বরে রাত ১০ টার ২০ মিনিটে ফোন দেন খোরশেদ আলম। কিন্তু ওসি ফোন ধরেন নি। এরপর শিবগঞ্জের ইন্সপেক্টর তদন্তের সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হয়। তিনি কল রিসিভ করে জানান, আরও আধা-ঘণ্টা পরে এই বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলব। আপনি সাংবাদিকতা করেন, কীভাবে তথ্য নিতে হয় জানেন না? 

এর ৪০ মিনিট পরে আবার ইন্সপেক্টর তদন্তের সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে রিসিভ করা হয়। জামায়াত ইসলামের ৯ নেতাকে আটকের  বিষয়টি আবার নিশ্চিত হতে চাইলে ওই প্রান্ত থেকে কোনো রেসপন্স করা হয়নি।

ফোনের ওই প্রান্ত থেকে তখন জানানো হয়, ‘তদন্ত স্যার বাহিরে গেছেন। আমি এসআই বলছি।’এরপর তার নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মুখের উপর হুট করেই ফোন কেটে দেন। এভাবে মুখের উপর ফোন কেটে দেওয়ার বিষয়টি জানার জন্য পরে ওই নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করা হয়নি। একই বিষয়ে ওসির নম্বরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান বিলু, একাত্তর টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি শাহজাহান আলী, দৈনিক বাংলার বগুড়া প্রতিনিধি আসাফ-উদ-দৌলা নিওনসহ একাধিক সাংবাদিকরা একাধিকবার ফোন করলেও কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনা থেকে ধারনা করা হচ্ছে আসামীদের সাথে ওসির ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। বিষয়টি আড়াল করতেই সচেতনভাবে ওসি ফোন ধরা থেকে বিরত ছিলেন। একই সঙ্গে ইন্সপেক্টর তদন্ত, তার ফোন রিসিভকারী পুলিশ কর্মকর্তা এই ঘটনার সাথে জড়িত আছে মনে হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।

পরে বিষয়টি সৌজন্য বিবর্জিত মনে হওয়ায় শিবগঞ্জ থানার ওসি ও তদন্ত পরিদর্শক বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন খোরশেদ আলম। 

পরিপ্রেক্ষিতে উপসিচব বেগম ফারজানা সিদ্দিকা অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান।