Joy Jugantor | online newspaper

বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা,বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ২৫ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ০০:৩৮, ২৫ নভেম্বর ২০২২

বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা,বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার শাকিল।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেরাজ হোসেন ফাহিমকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার বাবা নূর মোহাম্মাদ বাদী হয়ে সদর থানায় ফুটপাতের ঝাল-মুড়িওয়ালা বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। 

এ ঘটনায় এজাহারে থাকা ঝাল-মুড়িয়ালা বাব ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সোনাতলার উপজেলার বালুয়াহাট থেকে মূল অভিযুক্ত শাকিল ব্যাপারি (২৬) গ্রেপ্তার করে।

এরআগে ওইদিন ঘটনার পরেই সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের ঘটনাস্থল থেকে আরেক অভিযুক্ত ফরিদ ব্যাপারি (৫১) গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ জানায়, এরআগে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় ভ্রাম্যমাণ ঝাল-মুড়িওয়ালা দোকানী বাবা ও ছেলে তুচ্ছ ঘটনায় বাকবিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটায়। ঝাল-মুড়িওয়ালা ফরিদ ব্যাপারীর নির্দেশে তার ছেলে শাকিল ব্যাপারি ছুরিকাঘাত করেন। আহত ফাহিম রহমান ইন্টার্ন ২৫ তম ব্যাচের চিকিৎসক ও ঢাকার সবুজবাগের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এ ঘটনায় বুধবার রাত ৯ টার দিকে শজিমেকের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে কলেজ প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রায় ৩০ মিনিট পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান। 

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আহত ইন্টার্ন চিকিৎসকের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। উনাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা আছে। এখনও আশংকামুক্ত বলা যাচ্ছেনা। 

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম জানান, ঘটনার পরেই দ্রুত সময়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত সবধরণের ঘটনা এড়াতে শজিমেক ক্যাম্পাস প্রশাসনের সাথে পুলিশ কাজ করবে।