Joy Jugantor | online newspaper

পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে

শেরপুরে বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

শেরপুরে বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

শনিবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক।

শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এ.কে.এম নূরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ১১ লাখ ৪৬ হাজার ২৪৯ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

এর আগে গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি মো. মজিবর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এ.কে.এম নূরুল ইসলাম। 

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের গর্ভনিং বডির বিদ্যুৎসাহী সদস্য এ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এ. কে. এম. নূরুল ইসলাম গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মজিবর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তা সম্পন্ন মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ যাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি একজন বিদ্যানুরাগী মানুষ। তিনি শেরপুরে নারী শিক্ষা প্রসারের কথা বিবেচনা করে নিজের অর্থায়নে নিজ নামে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজও প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে দুটি দৃষ্টি নন্দন বহুতল ভবন নির্মাণ করে শেরপুরে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি উলিপুর আমিরিয়া সমতুল্লা ফাযিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ শেরপুরে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তাঁর অবদান রয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সভাপতির বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

প্রকৃত পক্ষে নুরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ, সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি করায় গত ২০১৯ সালের ১০ জুলাই গভর্নিং বডির সভায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তার যোগদানের তারিখ গত ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৮ মাসের আর্থিক খাতের তদন্ত করা হয়। সে তদন্তে আয়কৃত টাকার মধ্যে ১১ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৪৯ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর গভর্নিং বডির সভায় তাকে ২০২১ সারের ২৬ জুন কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সে তার জবাব দিলে তা সন্তোষজনক না হওয়ায় গভর্নিং বডির সভায় জবাব গ্রহণ করা হয় না এবং পুনরায় ২০২১ সালের ৮ জুন হয় শোকজ নোটিশ দিলেও তার জবাব সন্তোষজনক হয় না। এরপর জিবির সভাপতি মহোদয় মৌখিক ও লিখিতভাবে বারবার গভর্নিং বডির সভা আহবান করার জন্য বলিলেও অধ্যক্ষ সভা আহবান না করে রেজুলেশন খাতা, নোটিশ খাতাসহ কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সে তার বাড়ীতে নিয়ে রাখে। যাহা বিধিসম্মত নয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গভর্নিং বডির সভাপতি বিগত ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর / গভর্নিং বডির সভা আহবান করে। সেই সভায় সর্বসম্মত ভাবে অধ্যক্ষ এ. কে. এম নূরুল ইসলামকে সাময়িক ভাবে বরখান্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

এসময় কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজুল ইসলাম, বিপ্লব দত্ত, শাহ আলম, জীবন কুমার সরকার, রাশেদা সুলতানা, রুহুল আমিন, আজিজুল হক, আশুতোষ চন্দ্র, রাজু আহম্মেদ, অরুপ কুমার বসাক, মোস্তাফিজার রহমান, সিরাজুম মনিরসহ প্রমুখ।