Joy Jugantor | online newspaper

‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দিবে না আ. লীগ’

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০১:২০, ২০ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ০৫:১৬, ২০ আগস্ট ২০২২

‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দিবে না আ. লীগ’

জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা মানে ধর্মহীনতা নয়, অসাম্প্রদায়িকতার অর্থ প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করা এবং অবাধে পালন করবেন। প্রত্যেকেই অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শিব মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হুইপ স্বপন বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ যদি হিন্দুর বাড়িতে পূজার সময় যেতে পারে, পূর্ব পুরুষ যদি মুসলমানে বাড়িতে ঈদের সময় যেতে পারে। তাহলে আমরা এখন আধুনিক সমাজে বসবাস করছি, নিজেকে শিক্ষিত করছি, আমরা কেন সংকীর্ণ হবো, হিন্দুকে ভাই ভাবতে পারবো না, মুসলমানকে ভাই ভাবতে পারবো না। আমরা একসঙ্গে পথ চলবো। এই বাংলাদেশে যতদিন আওয়ামী লীগ বেঁচে থাকবে, ততদিন এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। আমরা সার্বক্ষণিক ভাবে সকল ধর্মের পাশে আছি।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি। এসময় জয়পুরহাট পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. হৃষিকেশ সরকারের সভাপতিত্বে আরও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আ.লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম সোলায়মান আলী, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল।

আলোচনা সভা শেষে জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়কে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন অংশ নেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কয়েক হাজার সনাতন ধর্মালম্বীরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় মহাভারতের কিছু কথা শোনানো হয়। তাছাড়া 'হাতি-ঘোড়া-পালকি, জয় কানাইয়া লাল কি' এই ধ্বনিতে অনেকেই মেতে ওঠেন। এতে প্রতীকি হাতি ছাড়া ঘোড়া-রথ, পালকি সবই ছিল। আনন্দে মেতে উঠার জন্য ছিল ঢাক-ঢোল সহ নানা বাদ্যযন্ত্র।