Joy Jugantor | online newspaper

চট্টগ্রামের নৌবাহিনীর মসজিদে বোমা হামলায় ৫ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:২১, ১৭ আগস্ট ২০২২

চট্টগ্রামের নৌবাহিনীর মসজিদে বোমা হামলায় ৫ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় জেএমবির ৫ সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলোঃ আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান, আবদুল গাফফার ও এম সাখাওয়াত হোসেন।

তাদের মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক আছে।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে গত ১ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (১৭ আগস্ট) দিন ধার্য করেন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক আবদুল হালিম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় পতেঙ্গা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করেন আবদুল মান্নান। এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করলে হামলাকারী মান্নান ভিড়ের সঙ্গে মিশে যান। কিন্তু তার বাঁ হাতের কবজিতে ইলেকট্রিক সুইচ দেখে মুসল্লিরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন আবদুল মান্নান আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে সফল হননি।

পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হলে রমজান আলী মসজিদের মাঝ বরাবর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে যান। পরে তাকেও ধরে ফেলা হয়। ওই দিন দুটি মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন।

হামলার ৯ মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ঘটনার ২২ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।