
ফাইল ছবি ।
নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে দুই নারীকে গছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও মারপিট করে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগে উঠছে। বুধবার উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের হরেকৃষ্ণপুর (ফরমানপুর) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন, হরেকৃষ্ণপুর (ফরমানপুর) গ্রামের দেবেন্দ্রনাথের স্ত্রী সরলা রাণী (৫৫), তার ছেলের বউ তাপসী রাণী (২৬) ও মৃত তছির আলীর পুত্র হাতেম আলীকে (৫৫)। হাতেম আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দেবেন্দ্রনাথের পুত্র নারায়ণ চন্দ্র বাদী হয়ে বুধবার রাতেই ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৬ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ নারীসহ মামালায় মূল অভিযুক্ত নুর ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার বাকিরা হলেন, আফরোজা বেগম ও নুরজাহান খাতুন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে হরেকৃষ্ণপুর (ফরমানপুর) গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের পুত্র নুর ইসলাম তার পক্ষের লোকদের নিযে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একই গ্রামের দেবেন্দ্রনাথের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা সরলা রাণী ও তাপসী রাণীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী হাতেম আলী এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে তার হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার পরেই অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।