Joy Jugantor | online newspaper

বিপৎসীমার ওপরে যমুনা-বাঙালীর পানি

বগুড়ার তিন উপজেলার ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২২ জুন ২০২২

বগুড়ার তিন উপজেলার ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

বন্যার কারণে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাচ্ছে চরের বাসিন্দারা। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা।

উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে বগুড়ার যমুনা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীতে পানি স্থিতিশীল। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাঙালী নদীতেও পানি  বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। 
বুধবার সকাল ৯টার দিকে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বন্যা পরিস্থিতির এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, যমুনা নদীর পানি সমতল সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।

পাউবো সূত্র জানায়, যমুনা নদীর বিপদ সীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। সকাল ৬টার দিকে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। সে সময় নদীর পানি ১৭ দশমিক ৩৪ মিটার উচ্চতায় রয়েছে। পরবর্তীতে সকাল ৯টার দিকে পরিমাপ করা হয়। এতেও দেখা যায় একই উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

এ ছাড়া বাঙালী নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৫ দশমিক ৮৫৩ মিটার। কিন্তু সকাল ৬ টা থেকে এই নদীতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে নির্ধারিত সীমার ওপরে ১৫ দশমিক ৯০ মিটার উচ্চতায়।

বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সম্পর্কে এর আগে সারিয়াকান্দি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, কামালপুর ইউনিয়নে সমস্যা বেশি। এই এলাকার প্রায় ৭ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিঁপূর্ণ। আমরা এসব এলাকা নজরদারিতে রেখেছি।

চলতি মাসের প্রথম থেকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উজানে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই পাহাড়ী ঢল ভাটি দিয়ে নেমে যাচ্ছে। এর আগে গত ১৭ জুন সন্ধ্যা থেকে যমুনায় পানি বিপৎসীমার ওপরে বইতে শুরু করে। এতে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ১১টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল পানিতে ডুবেছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দির অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।

বন্যা দেখা দেয়ার পর বগুড়া ত্রাণ ও পুর্নবাসন কার্যালয় থেকে সহায়তার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন জি আর চাল এবং ১০ লাখ টাকার শুকনো খাবার  বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এসব বিষয় জানিয়ে  ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, চলতি বছরের বন্যায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের জন্য ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত এবং ২টি রেসকিউ (উদ্ধার) বোট রাখা আছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭টি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।