Joy Jugantor | online newspaper

কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২০ জানুয়ারি ২০২২

কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার

কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার

দেশের উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল, প্রত্যন্ত গ্রাম ও শহরে বেড়েছে ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা।

স্বল্প খরচ আর ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও পরিবহনে সহজ হওয়ায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে এই ঘোড়ার গাড়ির প্রতি। এতে করে তৈরি হচ্ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান।

ইট-পাথর আর পিচঢালা পথে গাড়িয়াল ভাইয়ের গরুর গাড়ির চাকার শব্দ এখন আর কানে আসে না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরু কিংবা মহিষের গাড়ির দৃশ্য।

আর বর্তমানে সে জায়গা করে নিয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। শহর-গ্রাম কিংবা চরাঞ্চলে সর্বত্রই চোখে পড়ে ঘোড়ার গাড়ি। দুর্গম রাস্তায় কম খরচে পণ্য পরিবহনের সুবিধার কারণে বাড়ছে এর ব্যবহার।

শহর থেকে দুর্গম এলাকা- সব ধরনের পণ্য আনা নেওয়া সহজ হয়ে উঠেছে ঘোড়ার গাড়িতে। কৃষি নির্ভরশীল জেলায় ভারি কলকারখানা না থাকায় কাজ থাকে না বছরের অধিকাংশ সময়।

তাই স্বল্পব্যয়ে সারা বছর আয়-রোজগারের পথ হয়ে উঠেছে এই ঘোড়ার গাড়ি। দিনমজুর থেকে শুরু করে রিক্সা-ভ্যান চালকরাও ঝুকছেন এর প্রতি।

এছাড়া গরু বা মহিষের গাড়ি বানাতে খরচ পড়ে প্রায় দেড় থেকে দু’লাখ টাকা। অলিগলিতে গরু বা মহিষের গাড়িতে যেতে না পারায় তেমন আয়ও হয় না। এতে গরু-মহিষের গাড়িতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনেকেই।

এদিকে মাটি বা বালুর পথে ঘোড়া দিয়ে চলাচলের সুবিধা থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ গরুর গাড়ির বদলে এখন ঘোড়ার গাড়ির প্রতি বেশি ঝুকছে। কেউ গরু বিক্রি করে বা ঋণ করে ৫০/৬০হাজার টাকায় ঘোড়া কিনে গাড়ি তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন।

নদী ভাঙনের কারণে অনেকই ফসল জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। আবার চরের বালুময় অনুর্বর জমিতে ফসল না হওয়ায় কাজের সুযোগ-সুবিধাও কম। তাই ঘোড়ার গাড়িতেই তারা জীবিকার নির্ভরতা খুঁজছেন।

মাত্র দেড় যুগে জেলায় কয়েক হাজার ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন শুরুর পর থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় আয়ও বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে ঘোড়ার গাড়ি এখন অপরিহার্য বাহনে পরিনত হওয়ায় বাড়ছে এর জনপ্রিয়তাও।

ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক নিম্ন আয়ের পরিবারের জীবকার পথ ফিরে পাবার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব এই বাহনটি স্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে।