সংগৃহীত ছবি
নাটোরের সিংড়ায় বরনই নদীর বাঁধের জায়গায় এ ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী শুকচান। বাধা দিতে গেলে দুর্ব্যবহারের শিকার হন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাউদ্দিন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে শুকচানের দুর্ব্যবহারের শিকার হন সাংবাদিকরাও।
আত্রাই, নন্দকুজা, গড়াই, বড়ালসহ নাটোরের বাকিসব নদীর অবস্থাও বেহাল। নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোপানপাট, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দখলদারদের উচ্ছেদে তৎপরতা নেই প্রশাসনের।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কঠিন হাতে নদীগুলোকে মুক্ত করতে হবে।প্রচুর সমীক্ষা চালিয়ে, ব্যাপক স্টাডি করে সেগুলোকে আমাদের সংস্কার-সংয়রক্ষণ করতে হবে।
এদিকে নদী দখলমুক্ত করতে দ্রুত কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস পাউবো ও প্রশাসনের। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, যারা অবৈধভাবে বাঁধ দখল করে আছে, তাদের উচ্ছেদ করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এখন করোনার প্রকোপ কমেছে। আমরা আবার এই কার্যক্রম পরিচালনা করব। পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা যাতে পুনরায় স্থাপিত না হয়, সেজন্য বরাদ্দ চেয়েছি। আশা করছি তা পেয়ে যাব।
নাটোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট-বড় ২৪টি নদী ও অসংখ্য খাল।