সংগৃহীত ছবি
সম্ভাবনা দেখাচ্ছে পেঁয়াজের নতুন জাত নাসিক রেড এন-53। গ্রীষ্মকালীন এই ফসলের ফলন বেশ ভালো। তাই খরচের তুলনায় লাভ বেশি। যাতে আগ্রহ বাড়ছে আবাদে।
রংপুরের পীরগাছার কৃষক আব্দুল কাদের। আবাদ করেছিলেন গ্রীষ্মকালীন নতুন জাতের পেঁয়াজ 'নাসিক রেড এন-53'। বাম্পার ফলনে খুশি তিনি। এ ব্যাপারে আব্দুল কাদের বলেন, এসময় পেঁয়াজের কেজি ৫০-৬০ টাকা। এটা খুব লাভজনক ফসল। বেশ ভালো। দামেও পোষাবে।
খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় এই জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তবে চাষে প্রশিক্ষণসহ স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় চাষীরা বলেন, বীজ ও পুলি দরকার। বীজ পাওয়ার কারণে পেয়াজ থেকে আমরা ভালোই লাভ করতে পেরেছি। এবার ভালো খেতেও পেরেছি। আমরা যদি সার ও ওষুধের সুবিধা পাই তাহলে এটি আবাদ করতে আরো সুবিধা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচশ' বিঘায় নতুন এই জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।
রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, পাঁচশ' বিঘা জমিতে আমরা গ্রীষ্মকালীন পেয়াজের চাষ সম্পন্ন করেছি। বীজগুলো পাওয়া মাত্রই আমরা এ পেঁয়াজ আবাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। যার ফলে আমাদের রংপুর জেলায় অলরেডি হার্ভেস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আশা সারা বছর পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাসিক এন-৫৩ জাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, আমরা যদি সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে অথবা আগস্টের শেষের দিকে এ পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করে মাঠে নিয়ে যেতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা এটাতে সফল হবো।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুর রহিম বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে কৃষক লাভবান হচ্ছে। এতে সরকারও টিকে যাচ্ছে, মানে আমরা কৃষি বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় জোর করে বলতে পারবো আমরা পেঁয়াজেও সফলতা এনেছি।
জানা গেছে, এ বছর সারা দেশে ১৮ হাজার বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।