Joy Jugantor | online newspaper

দুপচাঁচিয়ায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা

গোলাম মুক্তাদির সবুজ, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:০১, ৩ আগস্ট ২০২১

দুপচাঁচিয়ায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা

ফাইল ছবি।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ইরি বোরো মৌসুমে  সরকারের  চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে । সরকার নির্ধারিত ধানের  দাম  খোলা বাজারে চেয়ে  বেশি হওয়ায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কিছু কৃষক ও চালকল মালিকরা। বগুড়া জেলা দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সরকার চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য বিভাগের সাথে  সরকারি তালিকাভুক্ত ৩০০ টি হাসকিং মিল  ও ১৪ টি অটো রাইস মিল থেকে  ১১ হাজার ১২১ মেট্রিক টন চাল এবং  লটারি মাধ্যমে কৃষক থেকে ১৬শ ৪২ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন । 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস  সৃত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ১৬শত ৪২ মেট্রিকটন ধান এবং ৪০টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ১'শত ২১ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা হবে। ইতিমধ্যে ২৯৪টি  হাসকিং মিল  এবং ১৪টি অটো রাইস মিল পে-অর্ডার করে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ব হয়েছেন। কিন্তু ০২আগস্ট পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে  ১৫শ ২১ মেট্রিক টন ধান আর চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৭হাজার ৪শ ৪৬ মেট্রিক টন। 

চালকল মালিকরা জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই করোনা এবং বৃষ্টির কারণেও চাল তৈরির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং এক বছর যাবত  সরকার নিধারিত ধান ও চালের মূল্য চেয়ে বাইরে খোলা বাজারে দাম বেশি হওয়ার  খাদ্য গুদামে ধান ও চাল দিয়ে  লোকসান পড়তে  চান না মিলার ও অনেক কৃষক। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় চাল দিতে পারেননি অনেক মিলাররা। আর বাজারে ধানের দাম বেশি পেয়ে সরকার নির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারিয়েছে কিছু কৃষক। বাইরে হাট বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ার  প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে  যে খরচ হচ্ছে তা সরকার নিধারিত মৃল্য চেয়ে বেশি ।

উপজেলা চাল কল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক  আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মৌসুমে শুরুতে ধানের দাম কম ছিল কিন্তু হঠাৎ করে দাম বেশি হওয়ায় ধান কিনে চাতালে নিয়ে এসে সিদ্ধ করে শুকিয়ে মিলে ভেঙে সাটার করে চাল খাদ্য গুদামে সরবরাহ  করলে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এবারও লোকশানের ভয়ে গত বছরের মতো অনেক মিলার সরকারের সাথে চুক্তি হয়েও চাল দিচ্ছেন না। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার জানান,মিল মালিকরা পে-অর্ডার  করে  সরকারের সাথে চাল সরবরাহে চুক্তি হয়েছেন।খাদ্য বিভাগ থেকে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহ অভিযান সফল করতে আমরা সবাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আশা করছেন ১৬ আগস্টের  মধ্যে  লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।