বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় দিনে-রাতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বালু তোলা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এতে দিন দিন বেড়েই চলেছে বালুদস্যুদের দৌরাত্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনে-রাতে উপজেলার যমুনা নদীর বিভিন্ন অংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে বালুদস্যুরা। উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের তিনটি, কুতুবপুর ইউনিয়নে দুটি ও কামালপুর ইউনিয়নে একটি বালু তোলার অবৈধ পয়েন্ট রয়েছে। নদী থেকে বালু তোলার কারণে একদিকে যেমন ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে নদীর তীর রক্ষার বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও বালু বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের অবাধ চলাচলে স্থানীয় সড়কগুলোরও বেহাল দশা হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের অনেক স্থানে দেবে গেছে।
সারিয়াকান্দি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘ঈদ গাঁ মাঠ, মসজিদ ও মন্দিরের প্রয়োজনে বালু উত্তোলন করতে চাইলে প্রশাসনকে বললে অনুমতি পাওয়া যায় না। অথচ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন তা দেখছে না।’
তিনি বলেন, ‘বালু বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের কারণে স্থানীয় সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। বালুদস্যুদের থামাতে উপজেলা প্রশাসনের কোনো ধরণের ভূমিকা নেই বললেই চলে।’
অবৈধভাবে বালু তোলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন চন্দনবাইশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদত হোসেন দুলাল। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ অবৈধ বালু ব্যবসায়ের সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি শুধু বালু রাখার জন্য আমার জায়গা ভাড়া দিয়েছি। ৪০ বিঘা জমির ভাড়া হিসেবে মাসে ১ লাখ ২৫ পাই।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বন্যার কারণে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এ সুযোগে রাতে হয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।