Joy Jugantor | online newspaper

বগুড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:১২, ৬ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১০:২৭, ৬ এপ্রিল ২০২১

বগুড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ

ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান।

লকডাউনের মধ্যে বগুড়ায় দোকানঘর খুলে কার্যক্রম পরিচালনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স এবং মোবাইল টেকনিশিয়ান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা অন্যদের মতো সমাজের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা নিয়ে ব্যবসায় করি।  এ হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা জরুরি।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের সাতমাথায় এই দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। 

জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের লকডাউনে যে ক্ষতি হয়েছে সেটাই এখনও পুষিয়ে নিতে পারিনি। এবার লকডাউন পড়লে আমাদের না খেতে পেরে মারা যেতে হবে।

তারা জানান, লকডাউনে নির্দেশনা রয়েছে জরুরি পন্যসামগ্রী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারবে। আমরা সব জরুরি পণ্য ও সেবা নিয়ে ব্যবসায় করি। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকবে।  

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, রাজশাহীতে ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়েছিল। তাদের প্রতিষ্ঠান চালু রাখার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।  তাহলে আমাদেরও দেয়া উচিত।

ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মিলর বলেন, ‘ইলেকট্রিক্যাল পণ্য জরুরি সেবার অংশ। প্রশাসন কেন এটা বুঝতে চায় না। আমরা আমাদের দাবি দাওয়া জেল প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছি।  তারা সেটা গ্রহণ করেছেন। ’ 

ইলেকট্রিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, আমরা ৭০ থেকে ৮০ জন সদস্যরা একত্রিত হয়েছি। এ ছাড়া আরও কয়েকশ ব্যবসায়ীরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন।

একই দাবিতে সমাবেশে জড়ো হয়েছে বগুড়া জেলা মোবাইল ফোন টেকনিশিয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

এই সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুর রহমান তুহিন বলেন, আমাদের দোকানের ভাড়া অনেক বেশি। আর আমাদের কাজ করলে আয় হয়। এভাবে লকডাউনে বসে থাকলে সংসার চলবে না।  দোকান ভাড়াও দিতে পারব না। 

সংগঠনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. স্বাধীন জানান, আমাদের মোবাইল সার্ভিসিং সেবা তো জরুরি সেবা। তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠান চালু রাখার অনুমতি দেয়া উচিত। 

এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিআরটিসি কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখার দাবি জানাতে এসেছিলেন। এই ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন আকরাম জানান, কৃষিপণ্য জরুরি সেবা বিবেচনা করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানঘর চালু রাখার অনুমতি দেন।  

এসব বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কৃষির সাথে সরাসরি জড়িত পণ্যগুলোর ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্ধারিত সময় মেনে দোকান চালু রাখতে পারবেন।  তবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসক ভাল জানবেন। 

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (৪ এপ্রিল ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো.শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।,