Joy Jugantor | online newspaper

গাইবান্ধায় পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আব্দুল আউয়াল

প্রকাশিত: ০২:১৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ০৩:৫৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

গাইবান্ধায় পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

গাইবান্ধার মানচিত্র।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপেজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বগারভিটা ও কামারপাড়া গ্রামে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এ ঘটনায় বগারভিটা ও কামাড়পাড়া এলাকার নিয়োগপ্রার্থী তিনজন গাইবান্ধার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন৷ 

অভিযোগকারীরা হলেন, মোরছানা আক্তার দীপা, মুসলিম জান্নাত লোপা ও মণিকা আক্তার। তারা উভয়েই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। 

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২২ আগস্ট গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সাঘাটার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বগারভিটা ও কামারপাড়া গ্রামে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। 

বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বগারভিটা ও কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের আবেদন করতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই পদে এ বছরের ৩১ অক্টোবর লিখিত ও ৩০ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়।  ফলাফলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জুমারবাড়ির দহিচড়া গ্রামের বাসিন্ধা রাফেউজ হাবিবের স্ত্রী স্বর্ণা হাবিবকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

অভিযোগ সূত্রে আরও জানাযায়, স্বর্ণার স্বামী রাফেউজ দহিচড়া গ্রামের স্থানীয় বাসীন্দা। জালিয়াতির মাধ্যমে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বগারভিটার বাসীন্দা হিসেবে তথ্য প্রদান করেছে। 

অভিযোগকারী মোরছানা আক্তার দীপ বলেন, 'স্বর্ণার স্বামীর বাড়ি দহিচড়া গ্রামে। তবে নিয়োগ শুধুমাত্র বগারভিটা ও কামারপাড়ার বাসীন্দাদের জন্যই ছিল। জালিয়াতের মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তার নিয়োগ বালিত করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আমাদের মধ্যে থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হোক। ' 

অভিযোগকারী মণিকা আক্তার বলেন,  বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্বর্ণার নিয়োগ কোনভাবেই বৈধ হতে পারে না। সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্তে আসল রহস্য বেরিয়ে আসেব। ' 

আরকে অভিযোগকারী মুসলিমা জান্নাত লোপা জানান, 'নিয়োগ দিলে যোগ্য কাউকে দেওয়া হোক। অন্যায়ভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কাউকে নিয়োগ দেওয়া তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। স্বর্ণার নিয়োগ বাতিলসহ এ ঘটনায় জড়িতদেরও বিচারের আওতায় আনা হোক। '
 
এ ঘটনায় নিয়োগ পাওয়া স্বর্ণা হাবিবের স্বামী রাফেউজ দহিচড়া গ্রামে বাসীন্দা হাওয়া কথা স্বীকার করে বলেন, 'আমরা দহিচড়াতে থাকলেও বগারভিটায় আমার নিজস্ব জমি রয়েছে। সেখানে একটি টিনের ছাপড়া দেওয়া বাড়িও আছে আমার। ' 

জুমাড়বাড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বর আব্দুল গণি বলেন, 'রাফেউজ দহিচড়া গ্রামের স্থানীয় বাসীন্দা। তবে শুনেছি তার বগারভিটাতেও জমি আছে। তবে তারা দহিচড়ার ভোটার।' 

গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, 'পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে জুমাড়বাড়ি ইউনিয়নে হওয়া নিয়োগে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'