Joy Jugantor | online newspaper

বগুড়ায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ অবদানে ২ জনকে সম্মাননা 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৬ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ০৪:১৫, ২৬ নভেম্বর ২০২২

বগুড়ায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ অবদানে ২ জনকে সম্মাননা 

বগুড়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ২ নারীকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে

বগুড়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ২ নারীকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রেসকিউ আওয়ার পিপল এভারের (রোপ) উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে শহরের মফিজ পাগলার মোড় রোচাস রেস্টুরেন্টে তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। 

বগুড়ায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অসামান্য অবদান রাখায় সম্মাননা পাওয়া দুই নারী হলেন আইনজীবী আশরাফুন নাহার স্বপ্না ও পুলিশের উপপরিদর্শক জেবুন্নেছা। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোপের সাধারণ সম্পাদক, নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা পারভীন শ্যামলী। প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল। 

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের মূল প্রতিপাদ্যই হচ্ছে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর, সমঅধিকার নিশ্চিত কর’। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায়

নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে রোপের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা পারভীন বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, পরিবর্তীতও হচ্ছে সমাজকাঠামো, বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা। পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রায়। কিন্তু বাস্তব সত্য এটাই যে, বন্ধ হচ্ছে না নারী নির্যাতন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং সমাজ-সভ্যতার উন্নয়নে তাদের অবস্থান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারপরও নারীরা শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকারের দিক দিয়ে এখনও পুরুষের সমকক্ষ নয়। অথচ এই নারীর কারণেই একটি সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়, পৃথিবীর আলো উপভোগ করতে পারে এবং একটি সুন্দর জীবনের সূচনা করে।

প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন তার জীবনে কোনো না কোনো সময়ে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়। প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে দুজন স্বামী বা বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে বেশির ভাগই নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজ-লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খোলেন না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে আগুয়ান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। ভুলে গেলে চলবে না, নারীর ভোটও কিন্তু মোট সংখ্যার অর্ধেক। নারীবান্ধব সমাজ অর্থনীতিকে এগিয়ে নেবে। 

সমাজকর্মী ও তরুণ সংগঠক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার আবু সালেহ মো. নূর। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জয়যুগান্তরের বার্তা সম্পাদক খোরশেদ আলম, ৭১ টিভি জেলা প্রতিনিধি শাজাহান আলী, সরকারি চাঁচাইতারা মাদলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রানী ঘোষ, অ্যাডভোকেট সারদী শবনম মিথুনসহ আরও অনেকে।