Joy Jugantor | online newspaper

দেশে ‘ফগ অ্যালার্ট’ জারি, এ সতর্কতার অর্থ কী?

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২২ জানুয়ারি ২০২২

দেশে ‘ফগ অ্যালার্ট’ জারি, এ সতর্কতার অর্থ কী?

ফাইল ফটো।

দেশের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ফগ অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘যখন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা এক হাজার মিটারের নিচে নেমে আসে, কুয়াশার তীব্রতা বেশি থাকে, তখন সাধারণত আমরা ফগ অ্যালার্ট জারি করে থাকি। এ ধরণের সতর্কবার্তার মাধ্যমে মূলত যানবাহন চলাচলে বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশার তীব্রতা বেশি থাকে। কুয়াশার কারণে যেহেতু বেশি দূর পর্যন্ত দেখা যায় না, ফলে যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঝুঁকি বেশি থাকে।

তিনি আরো বলেন, কুয়াশা বেশি থাকলে বিমান চলাচলেও সমস্যার তৈরি হয়। এই কারণে সিভিল এভিয়েশনের জন্য আবহাওয়া দফতরের আলাদা একটি বিভাগ আছে, যারা প্রতি আধাঘণ্টা পরপর কুয়াশার সর্বশেষ তথ্য জানাতে থাকে। দেশে শীতের সময় অর্থাৎ ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে 'ফগ অ্যালার্ট' জারি করা হয়। 

ঘন কুয়াশার কারণে গত কিছুদিন ধরেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

হাফিজুর রহমান বলেন, কুয়াশাকে আবহাওয়াবিদরা 'লো ক্লাউড' বলে বর্ণনা করে থাকেন। শীতের সময় তাপমাত্রা কম থাকে এবং মাটিতে থাকা আদ্রতা উপরে উঠে গিয়ে কুয়াশা তৈরি করে। এছাড়া অ্যাডভেকশন ফগ বা মাটির তুলনায় বাতাস উষ্ণ এবং আদ্রতা বেশি থাকার কারণে যে কুয়াশা তৈরি হয়ে ভেসে বেড়ায়।

আবহাওয়া অধিদফতেরর সাবেক পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছিলেন, কুয়াশা তৈরির পেছনে বাতাসের আদ্রতা ও তাপমাত্রার পার্থক্য দায়ী থাকে। তবে এবার রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আগেই কুয়াশা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর বাতাস কম থাকার কারণে কুয়াশা সরে যেতে পারছে না। কুয়াশা আইসের (বরফের) একটা অংশ। এটা আমাদের দেশে ছোট থাকে, অন্যান্য দেশে তাপমাত্রা অনেক কমে যায় বলে সেটা বড় আকার ধারণ করে ঝড়ে পড়ে, যাকে স্নো বলে। আমাদের দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে বলে স্নো হয় না, তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো ছোট ছোট ফোটা হয়ে ঝড়ে পড়ে।